পাতা:কবিকঙ্কণ চণ্ডী (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা * R> তাঙ্গার চরিত্রে ভালবাসা যেমন নিগৃঢ়, সন্দেহও তেমনই নিভৃত । খুল্লনা সপত্নীর কাছে থাকিয়াও নিঃসন্দিগ্ধা, ফুল্লারা অকারণেও সন্দেহাদিগ্ধা । এজন্যই বলিয়াছি ফুল্লারার চরিত্র জটিল । এই জটিলতার মধ্যে কবি অসামান্য শক্তিতে তাহার ব্যাধ-পত্নীকে মনোজ্ঞ করিয়া তুলিয়াছেন। কালকেতুর কাছে ধনপতি ও শ্ৰীপতি দাড়ায় না। শাল্মালী তিরুর পাশ্বে মৃদু কদলীকাণ্ডের ন্যায় তাহারা একান্ত নিবীৰ্য্য । ধনপতি ও শ্ৰীপতির উপাখ্যান ব্যাপিয়া ফল্পনদীর ন্যায় সদবত্র একটা ভক্তির সুর জাগিয়া উঠিয়াছে । এই আখ্যায়িকার আদিতে মধ্যে ও অস্তে-একটা “মা” “মা”। সুরের আকুল কান্না শোনা যায়। কালকেতুর উপাখ্যানে ভগবতী স্বপ্ৰকাশ হইয়াছিলেন, কিন্তু সন্তানের “মা” “মা”। সুবের একান্ত নির্ভর্যপরাযণা কান্না-সেই উপাখ্যানে নাই । একবার মাত্র মশানে কালকেতু মাকে ডাকিয়াছিলেন,-কিন্তু ধনপতির আখ্যায়িকায়-খুলনার ছাগরক্ষণের কালে, শ্ৰীমন্তের মশানে সেই স্নেহম খি নিঃসহায় শিশুর সুরটি যে ভাবে জাগিয়াছে, তাহাতে আমরা পরবর্তী কালের বাম প্ৰসাদের মাল শ্ৰীর পুল্লাভাস १°fछं ! ब्रह्वा-ञडिा যে মাতৃভাব বিশেষ ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছিল, এখানে শুধু তাহার আদি নয়, পরিণতি ও পুনৰ্নবাভাস ও পাওয়া যাইতেছে । শ্ৰী দীনেশচন্দ্ৰ সেন ।