পাতা:কবিতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
কবিতাকুসুমাঞ্জলি।

দুকূলনাশিনি! তব গুণ কত কব,
অনায়াসে নাশ কর সেই তরু সব।
এইরূপে কতলোক তব নিন্দা করে,
কদাচ না সহে নদি! আমার অন্তরে।
—শুনরে অবোধ নর? আমার বচন,
বিধাতার থাত নদী সুখের কারণ।
দেখাইলে যত দোষ সে সকল গুণ,
সহজে বুঝিতে যদি হইতে নিপুণ।
সর্ব্বোপরি উচ্চ কুলে জনম নদীর,
করিতে উর্ব্বরা ভূমি ভাঙ্গে নিজ তীর।
যে লয় শরণ, তারে করে স্থান দান,
ছোট বড় বিচার না করয়ে মহান।
শুনরে নিন্দক! সেই জল জন্তুগণে
করে কত উপকার, ভাব দেখি মনে।
নিজ বেগ মন্দ করি সুখের কারণ,
তটিনী বঙ্কিমভাবে করয়ে গমন।
যবে সতী পতিপাশে করে অভিসার,
তখন কি করে মূঢ়! পথের বিচার।
যে পথে যাইলে হয় মহতের সঙ্গ,
তারে বল নীচ পথ, একি জব রঙ্গ।