পাতা:কবিতাবলী (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৬৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৬
কবিতাবলী।

বারেক বৃটনেশ্বরি আয় মা দেখাই
প্রাণের ভিতরে দাহ কি করে সদাই;
কাজ নাই দেখায়ে মা, তুমি রাজ্যেশ্বরী,
হৃদয়ে বাজিবে তব ব্যথা ভয়ঙ্করী।
ছিল ভাল বিধি যদি বিধবা করিত,
কাঁদিতে হতো না পতি থাকিতে জীবিত!
পতি, পিতা, ভ্রাতা, বন্ধু ঠেলিয়াছে পায়,
ঠেলো না মা, রাজমাতা, দুঃখী অনাথায়।”

আয় আয় সহচরী, ধরি গে বৃটনেশ্বরী,
করি গে তাঁহার কাছে দুঃখের রোদন;
এ জগতে আমাদের কে আছে আপন?
বিমুখ বান্ধব ধাতা, বিমুখ জনক ভ্রাতা,
বিমুখ নিষ্ঠুর তিনি পতি নাম যাঁর—
রাজ্যেশ্বরী বিনে ভবে কোথা যাব আর?

“কি জানাব জননী গো হৃদয়ের ব্যথা—
কিঙ্করীরো হেন ভাগ্য না হয় সর্ব্বথা?
কি ষোড়শী বালা, আর প্রবীণারমণী,
প্রতিদিন কাঁদিছে মা দিন দণ্ড গণি।
কেহ কাঁদে অন্নাভাবে আপনার তরে,
শিশু কোলে কারো চক্ষে বারিধারা ঝরে।