পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২২
আর কতবার গড়া হবে স্বরলিপি
ভাষা-গুল্ম থেকে? যদিও ইশারা ছিল
ফসলের, ভিক্ষুকের জন্যে নেই
বাগর্থের মায়া! শুধু দিগন্ত রাঙিয়ে যায়
শেষ আলো, বিহানবেলার। আর কত
লিখি ভার নিথর আন্ধারে?



২৩
জ্বলে-পুড়ে খাক হচ্ছে শ্মশান-চণ্ডাল, তার
ভূত-ভবিষ্যৎ, সবশেষে
যতটুকু ছাই পাওয়া যাবে, কোনো আর্তি
খোঁজো না সেখানে
কোনো পীড়নের স্মৃতি নেই, ক্লেদ নেই মড়কের
বাসনার পারম্পর্য নেই।
ভাষার নরক থেকে ভেসে আসে ঐ
চণ্ডালের শ্মশান-গীতিকা



২৪
কথা ফুরিয়েছে। প্রাকৃত সাঁঝের বেলা
মুড়িয়েছে নটেগাছ আর ধানের সুন্দর। ভালো,
এবার তাহলে নাচ হোক বৌ-ঝিয়ের, মাঘ-মণ্ডলের
রাতে এইসব দেখে শুনে ফের শুরু করি ভাষ্য
ব্রত-গাথা দিয়ে। বাগর্থের মন্ত্র শিখে নিই আজ
খাঁ খাঁ মাঠ, শূন্য গোলা, আকাশ-পিদিম থেকে।
ভোর হোক আরো একবার, লাঙলের নতুন ফলকে
বীজ স্পর্শ খোঁজে আজ, খোঁজে ঊষার আভাস!

১৩০