পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।


হলুদ লণ্ঠন, দুলে-দুলে উঠছে
বালকবেলার
গানের ইশকুল থেকে, ফরফর করে
উড়ে যাচ্ছে।
নোটেশন-ভরা খাতা আর সূর্যাস্তের
জটিল মুহূর্ত সব
মনে পড়ে পউষের মেড়ামেড়ি রাত
আমাদের কচিকাঁচা
প্রেমপত্রগুলি, খসড়ার স্কুপ থেকে
উঠে-আসা বিরহ-বিরহ খেলা
মনে পড়ে, হলুদ লণ্ঠন, বয়ঃসন্ধি জুড়ে
স্বপ্ন আর দ্বিধার প্রস্তুতি

এখন নির্জন। মধ্যদুপুরের গভীর স্তব্ধতা! মাঝে-মাঝে
আকাশের লিরিক-বিহীন মেঘে বৃষ্টির সংকেত। শুধু এই। তবু
রোদে-পোড়া মাঠে নাগরিক মেধা খোঁজে ভাষার পুরাণ। এই বার্তা
নিয়ে এল গৌড়বঙ্গে মফঃস্বলবাসী.. শেকড়ের টানে
জাগো, রাত্রির চুম্বনে জাগো, জাগো সমস্ত স্তব্ধতা ভেঙে, জাগো
নির্মিতির সজল নবীন

বহু কথা বলা হলো। এখন সঞ্চার
অন্ধকারে জেগে থাক আভা

আভা, শ্মশানের শেষ চিতা থেকে
রেখে যায় মুঠো-মুঠো ছাই।
ছাই সমস্ত মুখোশে মেখে নিই।
প্রতিটি গ্রন্থিতে তবু ক্ষত

ক্ষত, মিশে যায় দিনের গভীরে
১০
জন্মান্ধের কাছে কেন ধুলো
কেন বা হেমন্ত
বিনিদ্র রাত্রির রূপকথা লিখি
টীকা-ভাষ্য দিয়ে
এই, এই তো উৎসব, এই..
আমাদের যাপনের কথা...

১৩৩