পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৪

কিছুদূর যাওয়া হলো শুধু, এখনই
এত ক্লান্তি কেন?
কোথায় জমানো ছিল এত ক্লিষ্ট ভার
আগুনের মতো
কেন শুষে নেয় পিকাসোর গিটারের মায়া?
পথের উপরে
নুড়ি ও পাথরে, ধুলোয় কাঁকরে মিশে আছে
কপিশ চোখের ছায়া
কিছুটা কৌতুকে কিছুটা বিষাদে হয়তো প্রশ্রয়ে
ধমনীতে শীত আজ
ধীরে, অবসাদে নেমে আসছে আর সব চিহ্ন
মুছে যাচ্ছে একে একে
কিছুদূর যাওয়া হলো শুধু, এখনই
এত ক্লান্তি কেন?

১১.১১.১১॥ সকাল আটটা ত্রিশ॥ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন


১৫

গোধূলিতে আর কোনো সম্মোহন নেই
নেই কোনো ইশারাও শূন্যতার
আসন্ন রাত্রির কথা ভেবে কেন তবে সেই দিকে
তর্জনি তুলেছ? কিসের অভ্যাসে
দোসর প্রত্যাশা করো নিঃসঙ্গ মানুষ সারাবেলা
পেরিয়ে এসেও, বরং নির্জনে
খোঁজো একান্ত নিজস্ব ছায়া যদিও ক্রমশ নিরন্তর
ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে আলোর অন্তিম রেখা

১৪.১১.১১॥ রাত ১০-৫০॥ তদেব

১২২