পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২০

এদিকে নেমেছে সন্ধ্যা, ধুলো ও কুয়াশা মেখে
ফিরে যাচ্ছে যারা এসেছিল
লতাপাতা খড়কুটো ভাঙা ডাল কুড়োতে কুড়োতে
উনোনের আঁচে সেঁকে নেবে
রুখু হাত, অনেক পুরোনো খিদের আগুন জ্বলে উঠবে
আরো একবার আর পান্তা ভাতে
নুন-লঙ্কা ছিটিয়ে ছিটিয়ে ওরা গাইবে হরি-কথা
সেসময় সন্ধ্যা গাঢ় হোক, গৃহস্থের
ঘরে-ঘরে নিয়ন-আলোর মায়া পড়ুক ছড়িয়ে
ধুলোর বন্দনা লেখো, কবি
লেখো পরিপাটি কুয়াশা-পুরাণ

সন্ধ্যা ৫-৩০॥ ২০.১১.১১॥ এআই ৭০১, দিল্লির উড়ান


২১

কিছু বুঝি কিছুটা বুঝি না কাকে বলে অন্ধকার
অজস্র কথার মধ্যে হঠাৎ স্তব্ধতা
এর কোনো মানে আছে?
এত লাস্য এত হাসি এত চতুরতা এত ক্রূর গণিতের ফাঁদ
কে কাকে দেখায় প্রতিদিন।
অন্ধের সভায় বধির হয়েছে সভাপতি আর
সেই বিবরণ লেখে দ্যাখো
নুলো সাংবাদিক, ভাষ্য লেখে শুদ্ধতার, লেখে মূর্খতার স্তব
এভাবেই গেল, যাচ্ছে বহুদিন
অজস্র কথার মধ্যে যদি আজ হঠাৎ স্তব্ধতা নামে
এর কোনো মানে আছে?
কিছু বুঝি কিছুটা বুঝি না কাকে বলে আত্ম-সমর্পণ

সন্ধ্যা ৬-৪০॥ তদেব

১২৫