পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অন্ধজন, শোনো, অন্ধদের সমবায় তৈরি হচ্ছে
নুলো ও বধির সমাবেশে
জহ্লাদ-লিখিত নথি জুড়ে সেই শুভ সমাচার খুঁজে পাবে
কদম্ববনেতে ঝামুরঝুমুর ঐ
প্রিয়বান্ধবীর পায়েতে ঘুঙুর কীভাবে বেজেছে শোনো
কান পেতে অইখানে সব
শান্তি তোমাদের কল্যাণ হয়েই আছে গেয়ে যাও
অনাবিল প্রার্থনাসঙ্গীত
বধিরেরা তালি দিক, নুলোদের নাচ হোক রণপায়ে
অন্ধজন, লেখো আলোর পাঁচালি

রাত ১১-২০, তদেব


এসেছিলে শূন্য ঘড়া নিয়ে, হাওয়ামহলের
বাক্‌ব্যবহার বোঝাতে চেয়েছ, বলো
চতুরতা নাকি ইন্দ্রজাল দিয়ে ঐ ঘড়া থেকে
ঢেলে দিচ্ছ কুণ্ঠাহীন মায়াপারাবার
মফস্বলবাসী আমি, কাকে বলে বেঁচে থাকা
এখনও শিখিনি, শুধু জানি এরকম
আসা-যাওয়া ভালো লাগে নাগরিক মানুষের
ওরা টুপি থেকে বের করে আনে হাতি
তারপর হাতি হয়ে যায় কবুতর অথবা খরগোস
সব শেষে থাকে শুধু শূন্য ঘড়া, মুঠোয় রোদ্দুর

দুপুর ১১-২০, ১৪.১২.১১, এআই ৯৭১০, শিলচর থেকে কলকাতার উড়ান

১৪৯