পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এইসব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে আমার তো
কিছুই করণীয় থাকে না, শুধু মূর্খের মতো প্রতীক্ষা যদি...
এভাবেই সকাল গড়িয়ে বিকেল এবং রাত
বহুদিন হল তোমার কাছে যাওয়া হয়নি
কেন লিখছি এরকম, কাকে লিখছি।
যার জন্যে এত কিছু সে তো নিজেই একবার দেখে যেতে পারত
সমস্ত হওয়া ও না-হওয়ার মধ্যে
তার চিহ্ন রাখা আছে, সব নীরবতা জুড়ে সে-ই
কথা হলো, বহুদিন যাওয়া হয়নি তোমার কাছে

সকাল॥ ৬-২০॥ ২১.১২.২০১০॥ তদেব


যে-পথ আমার নয়, সে-পথে কেন যে বারবার চলি
এই এক ধাঁধা যার কোনো মীমাংসা নেই
সত্য শুধু ফিরে ফিরে আসা পথের উজানে একা, দোসরবিহীন
এরকম কেন হয় ভেবে ভেবে দিন যায় নিরুত্তর
কোন পথ প্রকৃত আমার, তা কি কোনোদিন বোঝা গিয়েছিল
তবু এত অফুরান চলা যেদিকে দু'চোখ যায়
পথ জুড়ে শুধুই পাথর, নুড়ি ও কাঁকর আর বিক্ষত পায়ের ছাপ
প্রতিদিন আরো দীর্ঘ হচ্ছে পথ, শরীরের ক্লান্ত ছায়া
সঙ্গে-সঙ্গে চলে যতদূর দিগন্তের শেষ দেখা যায়
কেন এই যাওয়া, কোথাও পাওয়ার কিছু নেই তবু
পথের বাস্তব থেকে পথের রূপক খুঁজে খুঁজে নিজেকে ভোলানো
হয়তো-বা কিছু আছে আরেকটি বাঁকের পরে
এ পথ আমার নয় তবু চলি গন্তব্য থাক বা না-থাক
ধুলো মাখি ধুলো ভাবি ধুলো লিখি ধুলো হয়ে ধুলোতেই মিশি
যত যাই ওই পুঞ্জ পুঞ্জ ধুলো ঢেকে দেয় সব চিহ্ন
যা-কিছু কাঁকরে ছিল কিংবা পাথরের গায়ে অদৃশ্য শ্যাওলার
অবিকল ক্ষত, সেইসব মেনে নিই পথের প্রশ্রয়ে
এই চলা ফুরোবে না, দ্যাখো, ওই দীর্ঘতর শরীরের ছায়া

রাত॥ ৯-০০॥ ২৫.১২.২০১০॥ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন

১৯