পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জলের গভীরে যত নেমে যাই
মুছে যায় সব স্মৃতি
সেইসঙ্গে দুস্তর শূন্যের ঢেউ
তোমাকে ভাসিয়ে নেয়

কে ভেসেছে এমন অগাধ জলে
তুমি নাকি আমি কিংবা
অন্য কেউ নাহলে কীভাবে এক লহমায়
সব এত ধূসর হয়েছে

উপকূল জুড়ে ওঠে কোলাহল
এতে নেই জলের বন্দনা
যারা নির্বিকার উঠে আসে তীরে
ফিরেও দেখে না কেউ

নেমে গেল কারা জলের গভীরে

রাত॥ ৮-৫০॥ তদেব


আরেকটি সকাল এল, সদ্য ফোটা ফুঁইয়ের মতো
অবিরল শাদা, পেছনে রেখে এলাম
ঘনঘোর রাত অঙ্কুশ-তাড়িত, স্মৃতি আর অনুতাপে ভরা
সকালের গায়ে লেগে আছে ছেঁড়া পাঁপড়ির দাগ
এই বৈধ ও অবৈধ ছবি জুড়ে জাগরণ দেখি
দেখি ডুবে যাওয়া নিজের ভেতরে
রাত থেকে সকাল অবধি যত কিছু ঘটে যাচ্ছে
সমস্ত নিজের ভাষ্য প্রতীকের ছলে
এই সাদা রোদ থেকে শুষে নিই আপন পার্বন-কথা

সকাল॥ ১০-৩৫॥ ৫.১.২০১১॥ পুরী থেকে কলকাতার পথে, কটক

২৬