নীরব নিশীথ স্থির,
বিজন তটিনী তীর,
চঞ্চল অধীর নীর,
কল্লোলি তুলিছে তান;
যেন সেই বিদায়ের,
অশ্রুরুদ্ধ বিষাদের,
সকরুণ নয়নের,
অফুট অব্যক্ত গান।
চাঁদের মলিন আলো,
নীরদের ছায়া কালো,
চমকি তরঙ্গ-জাল
মিলিছে পুলক ভারে;
সজল নয়ন আগে
কার মুখখানি জাগে?
ব্যথাভর অনুরাগে
পরাণ যাচিছে কারে?
|
অদৃশ্য ফুলের বাস
ছুঁয়ে যায় চারিপাশ,
মূর্ত্তিমান স্পৰ্শ-হাস,
শিহরে অবশ-কায়া!
কেঁদে চাই নভ পানে,
তার দুটি মনে আনে,
নয়নের তারা কার,
অনন্ত সৌন্দর্য্য ছায়া?
বিশ্বের প্রাণের প্রীতি,
স্বর্গের আনন্দ-গীতি,
অমর আত্মার আলো,
অমনি আত্মাতে ফুটে;
মুছে যায় অশ্রুজল,
সসীমে অসীম বল,
নিরাশার অমঙ্গল
অবিশ্বাস যায় টুটে!
|