পাতা:কবিতা ও গান.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“চুপ চুপ।” (কচের প্রতি দেবযানী ) , বজ্র হতে রুদ্র স্বরে হইল ধ্বনিত— “চুপ চুপ,” স্তম্ভিত মুখের বাণী ! হৃদয়ের কথা হায়! কহিবারে গিয়া তরুণসে কম্পিত দেহ নীরব রসনা ; দেবতার অভিশাপ, প্রভুর আদেশ । তাই হোক, কিন্তু দেব অন্তর নিভৃতে গিরি-গৰ্ত্তে জ্বালামুখীসম উদগীরিয়া প্রচণ্ড অনল, চলিছে যে আলোড়ন তরঙ্গিয়া ইথরের অণু পরমাণু— তার কি করিলে ? নীরব সে মহাভাষা শুনিছ না তুমি ? কি করিব নিবারিতে সাহিক ক্ষমতা ; সদাই সশঙ্ক-চিত তব আজ্ঞা লঙ্ঘি পাছে, ইচ্ছা আটকিয় বধি তারে, পারি না তা, অনন্ত প্রবাহে উখলিছে শতোচ্ছাসে ভীষণ তরঙ্গে। প্রভু হে, নীরব যদি করিলে রসনা, এক ভিক্ষ মাগি, নাথ, পূর্ণ কয় তাহা— দ্বাও বর, অভিশাপ, দাও আজ্ঞ দাও, এ হৃদয় রসনও স্তন্ধ হয়ে যাক ; প্রকাগু ভাষারুরাজ্য নিস্তব্ধ হউক, স্বষ্টির পূর্বের শান্তি-ব্যাপুক ধরণী !