পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৬ ]

মনে তাহার আন্দোলন মাত্র করিয়া থাকেন। —নচেৎ প্রতি নিয়তই শুদ্ধ বিদ্যাভাসে পরিশ্রম করেন, অপর কোন ব্যাপারের আমোদ প্রমোদে কালক্ষয় করেন না। দিবসে একবার মাত্র রন্ধন করিয়া সেই অন্ন দুই বেলা আহার করেন। প্রায় কোন দিবস ব্যঞ্জন পাক করেন নাই। একটা বেগুন পোড়ার অর্দ্ধভাগ এবেলা এবং অর্দ্ধর্ভাগ ও বেলা আহার করিয়া তাহাতেই তৃপ্ত হইয়াছেন।

 উক্ত মুন্সি বাবুদিগের বাটীতে একদিবস সত্য নারায়ণের পূজার, সির্ণি, এবং কথা হইবে তাহার সমুদয় অনুষ্ঠান ও আয়োজন হইয়াছে।—কর্ত্তাটি কহিলেন “ভারত, তোমার সংস্কৃত বোধ আছে, বাক‍্পটুতা উত্তম।—অতএব তোমাকেই সত্য নারায়ণের পুঁতি পাঠ করিতে হইবেক,—গুণাকর ইহাতে সম্মত হইলে মুন্সী পুঁতি আনয়নের নিমিত্ত এক জনের প্রতি আদেশ করিলেন,তচ্ছ্রবণে রায় কহিলেন, “মহাশয়!—পুঁতি আনাইবার আবশ্যক করে না।—আমার নিকটেই পুস্তক আছে, পূজাআরম্ভ হউক, আমি বাসা হইতে পুঁতি আনিয়া এখনি পাঠ করিব।—এই বলিয়া বাসায় গিয়া তর্দ্দণ্ডেই অতি সরল সাধুভাষায় উৎকৃষ্ট কবিতায় পুঁতি রচিয়া শীঘ্রই সভাস্থ হইয়া সকলের নিকট তাহা পাঠ করিলেন, যাঁহারা সেই কবিতা শ্রবণ করিলেন, তাঁহারা ভাবতেই মোহিত হইয়া সাধু সাধু ও ধন্য ধন্য ধ্বনি করিতে লাগিলেন। গ্রন্থের সর্ব্বশেষে ভারতের নামের “ভণিতা” এবং