পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯ ] কথা বলিয়া বিদায় লইয়। তিনি তৎস্থান হইতে এস্থান করিলেন । অনন্তর, তিনি ফরাসডাঙ্গায় আসিয়া ফরাসি গবর্ণমেণ্টের দেওয়ান বিখ্যাত ধনাঢ্য ও মান্যবর শ্রোত্রিয় পালধি বংশ্য ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী (র্যাহার প্রতিষ্ঠিত ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত ঘাট অদ্যাবধি ফরাসডাঙ্গর গঙ্গাতীরে শোভা করিতেছে, ) তাছার নিকট উপস্থিত হইয়া অাপনার পরিচয় প্রদান পূৰ্ব্বক অতিশয় কাতরতা সহকারে নিবেদন করিলেন “মহাশয় ! আমি আপনার সাশ্রয় লইলাম, শরণাগত হইলাম,ষে প্রকারে হউক, সদয় হইয়া আশ্রয় দিয়া আমাকে প্রতিপালন করিতে হইবেক”দেওয়ানজী ভারতের বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় পাইয়। ও পুরাতন ও বর্তমান অবস্থা সকল জানিতে পারিয়া এবং স্তবে অত্যন্ত তুষ্ট হইয়া আশ্বাস বাক্যে সাহস প্রদান পুরঃসর কহিলেন “তুমি অতি যোগ্য ও প্রধান বংশের মনুষ্য, তোমার উপকার করা সৰ্ব্বতোভাবেই কৰ্ত্তব্য। ভাল, তুমি এখানে থাকিয়া কিছুদিন অপেক্ষা কর, আমি বিহিত চেষ্টায় রহিলাম, সুযোগ-যুক্ত সময় পাইলে ও কোন বিষয় উপস্থিত হইলে তোমার মঙ্গল সাধনে কখনই সাধ্যের ক্রটি করিব না” এতদ্রুপ করুণাকর অনুকুল বচনে ভারতচন্দ্রের “মানস মুকুল” আনন্দ মকরন্দভরে প্রফুল্প হইল –তৎকালে উক্ত চৌধুরী মহাশয়ের জাতি সম্বন্ধীয় কোনৰূপ অপবাদ থাকাতে তিনি র্তাহার বাসায় অবস্থান না করিয়া ওলন্দাজ গৰণমেণ্টের’দেও