পাতা:কবির প্রেম - শিবপদ চক্রবর্তী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবির প্রেম কত রাত্রি সুধু ভালবাসার স্বপ্ন দেখে জেগে কাটিয়েছে, আর প্রকাশ ! সে জানে বিলাতি কায়দায় অভিনয় করতে। যে দেশে খুন হয়—অথচ খুনীর হাতে লাগে না রক্তের দাগ। সে চায় কল্পনাকে একান্ত আপনার করে ছবির বইয়ের পাতার ছবির মত—যতদিন না পাতা উলটে আর একখানা পাতার ছবি আসে তার সামনে। মুখে সে বলে, লম্বা বক্তৃতা দিয়ে—নারী রত্ন -অমূল্য, মনে জানে নারীর আবার মূল্য কি ! পুতুল খেলার পুতুল। তাই যেমন খুসি তেমনি করে নাচিয়ে চায় সে ফেলে দিতে । কল্পনার সম্বন্ধে তার ওই একই মত । কিন্তু বাহিরে সে বজায় রেখেছে সবই । নির্জনে বসে কল্পনার একটা সুন্দর হাত নিজের হাতে নিয়ে শুনায় তাকে কত প্রেমের কুজন গুঞ্জন, এমন ও সে বলে কল্পনাকে—সে তার জীবনের আলো। সে চলে গেলে তার জীবন হবে অন্ধকারময়। কল্পনা সরল প্রাণে বিশ্বাস করে চেয়ে থাকে প্রেমের উদাস চোখে প্রকাশের মুখের দিকে, প্রাণ তার চায় প্রকাশকে আরও ভালবাসতে আরও, তার বুকের কাছটিতে টেনে নিতে। এই ভাবে যখন চলেছে তাদের প্রেমের অভিনয় চরম পৰ্য্যায়, সেই সময় এতদিনের সঞ্চিত ভালবাসা একদিন কোন বাধা আপত্তি না মেনে প্রকাশ পায় । নির্জনে একাকী কল্পনাকে পেয়ে উৎপল বলে সে তাকে ভালবাসে, এবং সে জানে কল্পনাও তাকে ভালবালে। কাজেই তাদের বিয়ে হলে তারা উভয়ে জীবনে মুখী হবে। কল্পনা তাকে --इल्लब्रिश्नं