পাতা:কবির প্রেম - শিবপদ চক্রবর্তী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের গতি অনেক বড় বড় বিষয়ের দেশমাতার মুক্তির জন্য। তার মা তাকে কতবার বলেছেন—বাবা, বিয়েথা কর, একটা টুকটুকে বে। এনে সংসারে মন দে। কিযে মুরু করেছিস, তার পরিনাম ভাবতে গেলে ভয়ে আমার বুক ওঠে কেঁপে। উত্তর আসে– তুমি বোঝ না মা, পরাধীনের বিয়ে করা মহাপাপ। এরপর মা কি আর ছেলেকে পাপ করতে বলতে পারেন ? কাজেই চুপ করে চলে যেতে হয় অন্যত্র। 画 এদিকে বছর চার পরে একদিন বজ্র চলেছে তার স্ত্রীর শরীর খারাপ হওয়ার দরুণ হাওয়া বদলাতে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে পুরীর পথে। গাড়ীখানা যখন হাওড়াষ্টেশন ছাড়ে তখন ভীড় ছিল গাড়ীতে ভীষণ, পাশের লোকেরই মুখ দেখবার সময় ছিল না নিজের স্থান নিয়ে ব্যস্ত থাকায়। গাড়ীখানি চলতে সুরু করে । তিন চারটা ষ্টেশনে একটু একটু থেমে কিছু যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলতে সুরু করেছিল যখন তখন দেখা গেল-গাড়ীখানির কামরার একটী কোণে বজ্র তার বড় ছেলেটকে কোলে নিয়ে জানলার মধ্য দিয়ে দেখছিল প্রশস্ত মাঠ আর নীল আকাশ,—আর বীণাদেবী ঘুমন্ত ছোট ছেলেটকে কোলে নিয়ে একদৃষ্টে চেয়েছিল ছেলেটার মুখের দিকে। হঠাৎ ছেলেট ওঠে চীৎকার করে কেঁদে, হয়ত কোন দুঃস্বপ্ন দেখে, তাই তাড়াতাড়ি বীণা দেবী ছেলেটকে বুকের কাছে চেপে নিয়ে ভোলাতে বড় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ছেলেটির আকস্মিক —সাতাল্প—