পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্লাবিত করিয়া দরদীর ধারে অগ্র করিতেছে এবং ভাবের গােরভারে তাহার কণ্ঠস্বর মাঝে মাঝে যেন ভাঙ্গিয়া পড়িল বলিয়া । এই সকল রসের রসিক আমি নই, কিন্তু আমারও মনের ভিতরটা হঠাৎ যেন কেমনধারা করিয়া উঠিল। বাবাজী দ্বারিকদাস BDB BB BDD DBBB BD DB DBDBBDS SDD BDT D SBDY DDD গেল না, এবং শািন্ধ কেবল ক্ষণকাল পাবেই স্নিগ্ধহস্য-পরিহাস-চলাচল কমলল।তাই নয়, সাধারণ গহকমে নিযক্তা যে সকল বৈষ্ণবীদের এইমাত্র সামান্য তুচ্ছ কুরাপা মনে হইয়াছিল, তাহারাও যেন এই ধাপ ও ধনায় ধামাচ্ছন্ন গাহের অনন্জল দীপালোকে আমার চক্ষে মহন্তকালের জন্য অপরাপ হইয়া উঠিল। আমারও যেন মনে হইতে লাগিল আদরেবতী ঐ পাথরের মতি সত্যই চোখ মেলিয়া চাহিয়া আছে এবং কান পাতিয়া কতনের সমস্ত মাধষ উপভোগ করিতেছে। ভাবের এই বিহবল মািন্ধভাবকে আমি অত্যন্ত ভয় করি, ব্যস্ত হইয়া বাহিরে চলিয়া আসিলাম-কেহ লক্ষ্যও করিল না। দেখি প্রাঙ্গণের একাধারে বসিয়া গহর । কোথাকার একটা আলোর রেখা আসিয়া তাহার গায়ে পড়িয়াছে। আমার পদশব্দে তাহার ধ্যান ভাঙিলি না, কিন্তু সেই একান্ত সমাহিত মাখের প্রতি চাহিয়া আমিও নড়িতে পরিলাম না, সেইখানে স্তব্ধ হইয়া রহিলাম। মনে হইতে লাগিল শািন্ধ আমাকেই একাকী ফেলিয়া রাখিয়া এ-বাড়ির সকলেই যেন আর এক দেশে চলিয়া গিয়াছেসেখানকার পথ আমি চিনি না। ঘরে আসিয়া আলো নিবাইয়া শইয়া পড়িলাম। নিশ্চয় জানি, জ্ঞান বিদ্য ও বদ্ধিতে আমি ইহাদের সকলের বড়, তথাপি কিসের ব্যথায় জানি না, মনের ভিতরটা কাঁদিতে লাগিল এবং তেমনই অজানা কারণে চোখের কোণ বাহিয়া বড় বড় ফোঁটায় জল গড়াইয়া পড়িল । কতক্ষণ ঘামাইয়াছিলাম জানি না, কানো গেল, ওগো নতুন-গোঁসাই ? छागिल्ला ऐछिन्ना दनिलाभ-gक ? আমি গো-তোমার সন্ধ্যেবেলার বন্ধ। এতো ঘমোতেও পারো। অন্ধকার ঘরে চৌকাঠের কাছে দাঁড়াইয়া কমললতা বৈষ্ণবী । বলিলাম, জেগে থেকে লাভ হ’তো কি ? তব সময়টার একটু সদ্ব্যবহার হলো । তা জানি ; কিন্তু ঠাকুরের প্রসাদ পাবে না ? 9. তবে ঘািমচেচা যে বড় ? জানি বিঘ্ন ঘটবে না, প্ৰসাদ পাবোই। আমার সঙ্গোধ্যবেলাকার বন্ধ রাত্রেও পরিত্যাগ করবে না। বৈষ্ণবী সহস্যে কহিল, সে দাবি বৈষ্ণবেরা, তোমাদের নয়। বলিলাম, আশা পেলে বোস্টম হতে কতক্ষণ ? তুমি গহরকে পর্যন্ত গোঁসাই বানিয়েছ, আর আমিই কি এত অবহেলার ? হকুম করলে বোল্টমের দাসানদাস হতেও রাজি । SO