পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমললতার কণ্ঠস্বর একটুখানি গভীর হইল, কহিল, বৈষ্ণবদের সম্পবন্ধে তামাসা" করতে নেই গোঁসাই, অপরাধ হয়। গহরগোঁসাইজীকেও তুমি ভুল বঝেছো । তার" আপন লোকেরাও তাকে কাফের বলে, কিন্তু তারা জানে না সে খাঁটি মসলমান, বাপপিতামহর ধর্মবিশদ্বাস সে ত্যাগ করে নি। কিন্তু তার ভাব দেখে ত তা মনে হয় না ? বৈষ্ণবী কহিল, সেইটেই আশ্চর্য! কিন্তু আর দেরি করো না, এসো। একটু ভাবিয়া কহিল, কিংবা প্ৰসাদ না হয় তোমাকে এখানেই দিয়ে যাই-কি বলো ? বলিলাম, আপত্তি নেই, কিন্তু গহর কোথায় ? সে থাকে ত দ’জনকে একত্রেই res তার সঙ্গে বসে খাবে ? বলিলাম, চিরকালই তা খাই । ছেলেবেলায় ওর মা আমাকে অনেক ফলার মেখে দিয়েছে, তোমাদের চেয়ে সে তখন কম মিনিট হতো না। তা ছাড়া গহর ভক্ত, গাহর কবি । -কবির জাতের খোঁজ করতে নেই। অন্ধকারেও মনে হইল বৈষ্ণবী একটা নিঃস্বাস চাপিয়া ফেলিল, তারপরে কহিল, গহরগোঁসাইজী নেই, কখন চলে গেছে আমরা জানতে পারিনি । কহিলাম, গহিরকে দেখলাম। সে উঠানে বসে। তাকে কি ভেতরে যেতে দাও না ? वश्वौं दर्शश्न, ना । বলিলাম, গহরকে আজ আমি দেখেছি। কমললতা, আমার তামাসাতে তুমি রাগ করিলে, কিন্তু তোমাদের ঠাকুরের সঙ্গে তোমরাও বড় কম তামাসা করচো না । অপরাধ শািন্ধ একটা দিকেই হয় তা নয় । বৈষ্ণবী এ অনাযোগের আজ জবাব দিল না, নীরবে বাহির হইয়া গেল। অলপ একটুখানি পরেই সে অন্য একটি বৈষ্ণবীর হাতে আলো ও আসন এবং নিজে প্রসাদের পাত্র লইয়া প্রবেশ করিল, কহিল অতিথিসেবার দুটি হবে নতুনগোঁসাই, কিন্তু এখানকার সমস্তই ঠাকুরের প্রসাদ । হাসিয়া বলিলাম, ভয় নাই গো সন্ধ্যার বন্ধ বোস্টম না হয়েও তোমার নতুন গোঁসাইজীর রসবোধ আছে, আতিথ্যের ত্রটি নিয়ে সে রাসভঙ্গ করে না। রাখো কি? আছে-ফিরে এসে দেখবে প্ৰসাদের কণিকাটুকুও অবশিষ্ট নেই। DB BBBS DDD DDuuBBD BD BB BDB S BDDDB BD DD SS করিয়া সমন্দিয় খাদ্যসামগ্রী একে একে পরিপাটি করিয়া সাজাইয়া দিল । পরদিন অতি প্ৰত্যাষেই ঘািম ভাঙিয়া গেল কাসর-ঘন্টার বিকট শব্দে। সবিপল বাদ্যভান্ড সহযোগে মঙ্গল আরতি শহর হইয়াছে। কানো গেল ভোরের সরে কতনের পদ-কান গালে বনমালা বিরাজে, রাই গলে মোতি সাজে। অরণিত চরণে, মঞ্জরী রঙ্গিত খঞ্জন গজন লাজে। তারপরে সারাদিন ধরিয়া চলিল ঠাকুরসেবা । পজা-পাঠ্য কতন, নাওয়ানো, খাওয়ানো, গামোছানো, চন্দন-মাখানো, মালা-পরানো-ইহাঙ্ক Sð