পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাবার দিন আমাদের আড়ালে ডাকিয়া কমললতা জিজ্ঞাসা করিল, গোঁসাই, তোমাদের বিয়ের বছরটি মনে আছে ভাই ? নিকটেই দেখি একটা থালায় ঠাকুরের প্রসাদী চন্দন ও ফুলের মালা । প্রশেনর জবাব দিল রাজলক্ষী, বলিল, উনি ছাই জানেন-জানি আমি। কমললতা হাসিমখে কহিল, এ কি-রকম কথা যে একজনের মনে রইলো আর একজনের রইলো না ? DBBDB DDBDS DBB LD DBBB DDJTDBD S SDS DBB DBB छवान शनि । কিন্তু উনিই যে বয়সে বড়ো রে রাজা ? ইঃ ভারী বড়ো । মোটে পাঁচ-ছ বছরের। আমার বয়স তখন আট-ন বছর, একদিন গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে মনে মনে বললাম, আজ থেকে তুমি হ’লে আমার বর। বর! বর। এই বলিয়া আমাকে ইঙ্গিতে দেখাইয়া কহিল, কিন্তু ও-রাক্ষস তক্ষণ আমার মালা সেইখানে দাঁড়িয়ে খেয়ে ফেললে । কমললতা আশ্চর্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, ফুলের মালা খেয়ে ফেললে কি করে ? আমি বলিলাম, ফুলের মালা নয়- পাকা বইচি ফলের মালা । সে যাকে দেবে। সে-ই খেয়ে ফেলবে । কমললতা হাসিতে লাগিল, রাজলক্ষী বলিল, কিন্তু সেই থেকে শরা হলো আমার দগীত।। ওঁকে ফেললাম হারিয়ে, তার পরের কথা আর জানতে চেয়ো না দিদি-কিন্তু লোকে যা ভাবে তাও না-তরো কত কি-ই না ভাবে । তারপরে অনেকদিন কোদে কোদে হাতড়ে বেড়ালম খাঁজে খাজে-তখন ঠাকুরের দয়া হলো-যেমন নিজে দিয়েও হঠাৎ একদিন কেড়ে নিয়েছিলেন, তেমনি অকস্মাৎ আর একদিন হাতে হাতে ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন -এহ বলিয়া সে উদ্দেশে তাঁহাকে প্ৰণাম করিল। কমললতা বলিল, সেই ঠাকুরের মালা চন্দন বড়গোঁসাই দিয়েছেন। পাঠিয়ে, আজ ফিরে যাবার দিনে তোমরা দশজনকে দজনে পরিয়ে দাও । বাজলক্ষী হাতজোড় করিয়া বলিল, ওঁর ইচ্ছে উনি জানেন, কিন্তু আমাকে ও আদেশ করো না। আমার ছেলেবেলায় সেই রাঙা-মালা আজও চোখ বজলে ওঁর সেই কিশোর গলায় দলচে দেখতে পাই। ঠাকুরের দেওয়া আমার সেই মালাই চিরদিন থাক দিদি ৷ বলিলাম, কিন্তু সে-মালা ত খেয়ে ফেলেছিলাম। রাজলক্ষী বলিল, হাঁ গো রাক্ষস-এইবার আমাকে সমৃদ্ধ খাও । এই বলিয়া সে হাসিয়া চন্দনের বাটিতে সব কয়টি আগুগল ডুবাইয়া আমার কপালে ছাপ 5ाद्भिः क् ि। সকলে বারিকান্দাসের ঘরে গেলাম দেখা করিতে। তিনি কি একটা গ্রন্থ পাঠে নিষত্ত ছিলেন, আদর করিয়া বলিলেন, এসো ভাই, বসো । রাজলক্ষী মেজেতে বসিয়া বলিল, বসবার যে আর সময় নেই গোঁসাই। অনেক 이