কমলাকান্তের পত্র
তা’র চেয়ে বড় ঋণ সমাজের কাছে, দেশের কাছে। সে ঋণ, চক্রবৃদ্ধি হিসাবে, পুরুষানুক্রমে বেড়েই যায়, কমে না; যত পার তুমি পরিশোধ কর, তারপর পরজন্মে, অর্থাৎ তুমিই তোমার পুত্ররূপে পরিশোধ করবে। যুগে যুগে নব নব ঋণভার অর্থাৎ কর্ত্তব্যের ভার এসে পড়বে, তা' পালন করবার উপযোগী তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক, সুবিমল চরিত্র, সুপ্রশস্ত বুকের ছাতি—এসব প্রস্তুত করে' দিয়ে তোমায় যেতে হবে; আপনাকে ছাড়িয়ে সংসার, সংসার ছাড়িয়ে সমাজ, সমাজ ছাড়িয়ে দেশকে প্রেমের বন্যায় প্লাবিত করে' দিতে হবে—সে প্রেমের উৎস হবে তুমি ও তোমার নারী—দুই এ মিলে অর্ধনারীশ্বর; তবে ত বিবাহ বল, প্রেম বল সার্থক হবে, নয়ত “দেবা” “দেবী”র পিরীতি ত কুকুর কুক্কুরীর সম্মিলন মাত্র।
যারা ঠেকে শিখ্চে (আমরাও অনেক ঠেকে শিখেছিলুম এখন ভুল্তে বসেচি) তাদেরই একজন বিদূষীর লেখনি নিঃসৃত বাণী উদ্ধৃত করে’ আমার পত্র শেষ করি; Englandএর বদলে India এই পাঠান্তর গ্রহণ করলে অর্থের কোন উনিশ-বিশ হবে না—Let the young women of England learn as a new great faith that the sons and daughters they bear are not their children and the children of their husbands only, but the sons and daughters of England—the inheritors of all the fine tradition of our race. Let us spread the new romance of Love's responsibility to Life; let us honour ideals
১৫৮