প্রসন্ন গোয়ালিনীর আধ্যাত্মিকতা
শিব মন্দিরের উঠানে ভূমিষ্ঠ হ'য়ে প্রণান করে, তা'র তিন কুলে কেউ নেই, তবুও সে যে কার জন্যে মাথা খোঁড়ে তা বুঝে উঠতে না পারলেও, তা'র দেবতার প্রতি অগাধ ভক্তি সম্বন্ধে কোন সন্দেহই করতে পারা যায় না।
অতএব প্রসন্নকে, মেয়েমানুষ হ'লেও, type ধরে' নিলে ন্যায়ের মর্য্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে না, এটা আমি বলতে পারি। তবে আমি ইংরাজিশিক্ষিত লোকগুলোকে একেবারে বাদ দিচ্চি; তা'র প্রথম কারণ, তা’রা ইংরাজি জানে, প্রসন্ন ইংরাজি জানে না, সুতরাং প্রসন্ন তা'দের type বা প্রতীক হ’তে পারে না। দ্বিতীয় কথা, ইংরাজি শিক্ষিতগুলো, দুধে যেমন একটী ফোঁটা অম্ল বা গো-মূত্র পড়লে দুধ কেটে যায়, তা’রা তেমনি দু’পাতা ইংরাজি পড়ে’ কেটে গেছে, জমে গেছে, বা ছিঁড়ে গেছে—যাই বল; সেগুলো না এদিক না ওদিক, বৈদিক হ'য়ে গেছে। তৃতীয় কথা, এই ইংরাজি শিক্ষিতগুলো যে সব-কথা তলিয়ে বোঝবার আস্ফালন করে, সেই আস্ফালনই spiritualityর পরম অন্তরায়। অতএব ইংরাজির অম্লরস থেকে spiritualityর ক্ষীর সমুদ্রকে রক্ষা করতে হ'লে, ইংরাজি নবীশগুলোকে বাদই দেওয়া উচিত বিধায় তাদের আমি বাদ দিলুম! কেউ যেন মনে না করেন, আমি স্বয়ং ইংরাজিতে অষ্টরম্ভা বলে' এই কার্য্য করলুম। তা নয়, যেহেতু আমি যথেষ্ট কারণ না দেখিয়ে বাদ দিই নি।
আধ্যাত্মিকতার প্রতিমূর্ত্তি যদি পুরোহিত ঠাকুরকে ধরা যায় তা হ'লে কারও আপত্তি হবে কি? আমি সেই প্রতিমূর্ত্তির সঙ্গে প্রসন্নর তুলনা করে' দেখিয়ে দেব যে, দুইই হুবহু মেলে।
১৬৯