পাতা:কমলাকান্তের পত্র - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯২৩).pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কমলাকান্তের পত্র

আধ্যাত্মিকতা বা spiritualityর প্রথম লক্ষণই হচ্চে—তলিয়ে বোঝবার স্পর্দ্ধা না রাখা; তাঁর তা' আছে—তিনি মন্ত্র বলেন তা’র মানে বোঝেন না, ভাষার অর্থ হয়ত কিছুকিছু বোঝেন, অর্থের তাৎপর্য্য মোটেই বোঝেন না। যদি কেউ বোঝবার জন্য, তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্য নয়, তাঁকে প্রশ্ন করে, তা’তে তিনি অগ্নি-শর্ম্মা হ'য়ে ওঠেন,—এ সবই spiritualityর লক্ষণ; আর এসবগুলিই প্রসন্নতে বর্ত্তমান—প্রসন্ন দুধে জল দেয়, খদ্দেরকে ঠকাবার মতলবে যে দেয় তা যেন কেউ মনে না করেন, গয়লা বংশের কৌলিকপ্রথা তাই দেয়। সে বলে, যে দুধে জল দেয় না সে গয়লা নয়, অতএব তা’র জাতের মান রাখতে হ'লে তা’কে জল দিতেই হবে। কিন্তু “কেন জল দিয়েছ” এই নিতান্ত অবান্তর প্রশ্ন যদি কেউ করে, তা’র মুখের ‘আব্বি' থাকে না। ‘কেন’র উত্তর কেউ দেবে না—পুরুতও না, প্রসন্নও না। পূজা, বার ব্রত, দান ধ্যান এ সব বিষয়েই তা'র মনের অবস্থা একই—বোঝে না কিন্তু করে’ যায়, অতএব সে spiritual! সমধর্ম্মী বলেই প্রসন্নর সঙ্গে এবং প্রসন্ন যাঁদের type তাঁদের সঙ্গে, পুরুত ঠাকুরের বনে ভাল; পুরুত ঠাকুরও পদ্মলোচন—প্রসন্নও পদ্মলোচন, দু'জনে জীবনের পথে হোঁচট খেতে খেতে চলেন ভাল। পুরুতঠাকুর এমন certificateও দেন যে, প্রসন্ন আছে বলে' ধর্ম্ম আছে; ধর্ম্মটা প্রসন্নরাই রেখেচে, না হ'লে, পুরুতঠাকুরের ব্যবসাও মাটি হ’ত, আর সেই সঙ্গে সমাজ, দেশ ইত্যাদি সব ছড়িয়ে পড়ত; এখনও যে ছড়িয়ে পড়ে নি সেটা Priest cum

১৭০