কমলাকান্তের পত্র
ময়রা ভাই সকল বিশ্বকর্ম্মার পূজা করেন, হাতুড়ি ছেনি নিক্তি ইত্যাদিকে গড় করেন, আর চোখের আড়াল হ'লেই কাজে ফাঁকি মারেন, ওজনে কম দেন, ভেল্সা-ভ্যাজাল চালাতে পাল্লে আর বিশ্বকর্ম্মাকে মনে থাকে না। প্রসন্ন এ সবই যথারীতি করে' থাকে— কে জানে ডোবার জল, আর কে জানে পতিকোর জল, দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কচি ছেলের বিষ তৈরী করে' বেচেন, নূতন খদ্দেরকে দু'দিন একটু রং রেখে দুধ দিয়েই নিজমুর্ত্তি ধারণ করেন, দুধও নিজমূর্ত্তি ধরে', মাপে মারেন, পারলে হিসেবেও মারেন। আর এই সব ব্যবসাদারীর হজ্মিগুলি হিসাবে পূজাপাঠ, বারব্রত এ সবই চলতে থাকে। অতএব প্রমাণ হ'য়ে গেল, প্রসন্ন typeও বটে, spiritual typeও বটে।
তারপর প্রসন্ন যাদের, constructive নয়, literal type, অর্থাৎ আমাদের দেশের নারীকুল, তাঁদের আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে পুরুত ঠাকুর যে certificate দিয়েছেন তা’র উপর ত আর কথা নেই—তাঁরা আছেন বলে' ধর্ম্ম আছে, আর তা'র আনুসঙ্গিক যা কিছু আছে। তাঁরা হাঁচি টিকটিকি মানেন, বিষ্যুৎবারের বারবেলা মানেন, অশ্লেষা-মঘা মানেন তাই এত বড় জ্যোতিষ-শাস্ত্রটা বেঁচে আছে, ষষ্টি-মাকাল মানেন তাই তেত্রিশ কোটী দেবতার খোরাক জুটচে, উপরন্তু “এঁটো” আর “ব্ল্যাড়া” নামে তেত্রিশ কোটির ওপর দুই জাগ্রত দেবতার প্রাদুর্ভাব হ'য়েচে। তাঁরা এখনও পুরাণপাঠ ছলে কথকতার ভাঁড়ামি শোনেন বলে’ পুরাণাদি শাস্ত্র জীবিত আছে, তাঁরা তীর্থ করেন বলে' এখনও মোহাত্ত ও পাণ্ডাদের পেট
১৭২