প্রসন্ন গোয়ালিনীর আধ্যাত্মিকতা
মোটা হচ্চে, আর “নবীন-এলোকেশীর” পালার শেষ অভিনয় রজনী এখনও আসে নি; উপরন্তু ঝাড়ফুঁক, মাদুলি, রক্ষাকবচ ইত্যাদি বেদের ছাঁট, অথর্ব্ব বেদের debris এখনও লোকে ভুলতে পারে নি, মোটের উপর সমগ্র হিন্দুধর্ম্মের কাঠামটা তাঁদের ঠেসেই দাঁড়িয়ে আছে, ঘুণ ধরলেও ভূমিসাৎ হয় নি। বিচার করবার একটু অক্ষমতা, অতিরঞ্জনের প্রতি একটু ঝোঁক, সত্যের প্রতি একটু কম টান, দুটো পরচর্চায় কথঞ্চিৎ পরিতৃপ্তি, স্বজাতীয়ার প্রতি একটু ঈর্ষ্যা অসূয়া— এ সব সামান্য কথার জন্য আধ্যাত্মিকতার ব্যত্যয় হ'তে পারে কি? কেউ বলতে পারেন, প্রসন্ন কি একাই এই সব লক্ষণে লক্ষণাক্রান্ত? আমি বলি না তা নয়, প্রায় সব দেশের নারী–কুলই এই রকম। কিন্তু প্রসন্নর বিশেষত্ব এই যে, সে আধ্যাত্মিক, অন্য দেশের নারীর সে বড়াই নেই—-এইটুকু তফাৎ।
এ পর্যন্ত ন্যায়শাস্ত্রের method of agreement দিয়ে প্রমাণ করলুম যে প্রসন্ন spiritual তন্ত্রের। এখন একবার method of difference দিয়ে differential diagnosis করে’ দেখা যাক, তা'তেও যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হ'তে পারা যায়, তা হ'লেই প্রমাণটা অকাট্য হ'য়ে গেল।
প্রথম কথা ইউরোপীয়গণ খাদ্যের কোন বিচার করে না,—তা'রা গরু খায়, যদিও সেই সঙ্গে গরুর এমন ব্যবস্থা করে যে গরু দুধের সাগর হ'য়ে যায়, দিনে আধমণ পর্য্যন্ত দুধ দেয়। এ mate-rialism আমাদের দেশে নেই,— আমরা গরু খাই না (ডাক্তার - রাজেন্দ্রলাল মিত্র নাকি বলেছেন আমরা গরু খেতুম, তিনি
১৭৩