কমলাকান্তের পত্র
তাদের আধ্যাত্মিকতা ভাক্ত, আর আমাদেরটাই খাঁটি, তা'র কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে?
ঠিক এই পর্যন্ত লিখিচি আর নদীরাম বাবু এসে উপস্থিত —
নসীবাবু। কি ঠাকুর আবার মাথা গরম করচ যে!
আমি। লোকে কথা কয়েই ত মাথা গরম করে, আর মাথা ঠাণ্ডা করে' লেখে।
নসীবাবু। তোমার যে সব সৃষ্টিছাড়া। তা যাই হ’ক, কি লেখা হ'ল?
আমি। আজ্ঞে, আপনারাই যে ভগবানের chosen seed তাই প্রমাণ করে’ দিলুম, আপনারাই the salt of the earth, আপনারাই leaven, that will leaven the whole তারই চূড়ান্ত মীমাংসা করে’ দিলুম; পশ্চিম বলতে মোটা, আর পূর্ব্ব বলতে সূক্ষ্মাদপি সূক্ষ্ম—এইটে আধ্যাত্মিক ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলুম।
নসীবাবু। সব দেশেরই আপনাপন আধ্যাত্মিকতার ধারা আছে; আপনাপন সুখশান্তির অনুকূল পন্থা সব দেশেরই মনীষীরা আবিষ্কার করেছেন, আপনাপন দেশের পূর্ব্বাপর পরিকল্পনা করে' তাকে গড়ে' প্রয়োগ করেচেন।
আমি। তা ত করেচেন, কিন্তু আপনারাই যে স্বর্গের সিঁড়ি আবিষ্কার করেচেন এই আস্ফালনটা বড় বেশী রকমের শুনচি তাই ব্যাপারটা একটু চিরে দেখলুম।
১৭৬