পাতা:কমলাকান্তের পত্র - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯২৩).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্কুল-মাষ্টার না মোশন-মাষ্টার

সেই বিদ্যা জীবন-পণ করে' অর্জ্জন কর, কিন্তু কোন্ দেবযানীর অভিসম্পাতে সে বিদ্যার প্রয়োগ কর্ত্তে পার না? তা’রাও Science পড়ে, Economics পড়ে, Anthropology পড়ে, তাদের সে বিদ্যা অস্থি-মজ্জায় প্রবেশ করে' তাদের শক্তিশালী করে’ তোলে, আর তোমাকে সুধু নটের নিপুণতা ছাড়া আর কিছু দেয় না কেন?

 একজন পণ্ডিত এই রকম প্রশ্নের উত্তরে বলেচেন The divorce of our actual life from the life of our ideas has made us a race of neurasthenics, অর্থাৎ আমাদের প্রকৃত জীবনগতি আমাদের ভাব সম্পদের সঙ্গে খাপ খাচ্চে না বলে' আমরা বায়ু রোগগ্রস্ত হ'য়ে পড়েচি। আমরা ভাবটা নিচ্চি পাশ্চাত্য পুঁথি থেকে, আর আমাদের জীবনটা গড়ে উঠেচে আমাদের অতীতের সংস্কার সমষ্টি নিয়ে,— এই দুটাতে মিল্‌চে না বলে’ আমাদের শরীরে বায়ুর প্রকোপ কিছু বেশী হ'য়ে উঠেচে । সকলেই জানেন নট-নটী মাত্রেই একটু বেশীমাত্রায় neurasthenic—একটু বায়ুগ্রস্ত। উক্ত পণ্ডিতের মতে আমাদের মধ্যে a real sense of independence in both thought and action আনতে হবে, তা হ'লেই বায়ুর সমতা হ'য়ে আমাদের actual life এর সঙ্গে আমাদের ideas মিলে যাবে।

 পণ্ডিতজী রোগটা ধরেচেন ঠিক, আর দাওয়াইও ঠিক বাত্লেচেন; কিন্তু সম্পূর্ণ দাওয়াইটা বাত্লান নি। নূতন idea এসে আমাদের বহুবার আক্রমণ করেছে; সিকন্দর থেকে আরম্ভ করে’

১৮৩