৫
আঁটকুড়ী
আমি। তুমি অত রাগ করছ কেন তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না, প্রসন্ন।
প্রসন্ন আর থাকিতে পারিল না, তা’র গর্জ্জন তখন বর্ষণে পরিণত হইল। বুঝিলাম ব্যাপার কিছু গুরুতর; কারণ প্রসন্নকে শরতের নির্জ্জলা লঘু মেঘের মতো গর্জ্জন করিতেই শুনিয়াছি, বর্ষণ করিতে দেখি নাই। আর সে মেয়ে গর্জ্জনেই কার্য্যোদ্ধার করিয়া আসিয়াছে, শেষ অস্ত্রটি প্রয়োগের তা’র কখনও প্রয়োজন হয় নাই। আজ তাহাকে কাঁদিয়া ভাসাইয়া দিতে দেখিয়া বিস্মিত হইলাম।
সে একটু সামলাইয়া লইয়া বলিল-বল কি গো, তুমি আমার রাগও বুঝনা, দুঃখও বুঝনা? আমাকে আঁটকুড়ী বলিয়া গাল দিল তা’ও বুঝনা? কেবল আফিং বুঝ আর মৌতাত বুঝ বুঝি?
আমি। তা বুঝি বৈ কি; মিথ্যা বলি কেমন করে’। কিন্তু কি জান, হুকুমে রাগও হয় না, অনুরাগও হয় না। তুমি ক্রোধে অধীর হয়েছ বলে’ কি আমিও তোমার মতো লাফাব।
প্রসন্ন। তা’ত বটেই, আমাকে আঁটকুড়ী না বলে’ তোমাকে আঁটকুড়ো বলত যদি ত দেখতাম।
২২