পাতা:কমলাকান্তের পত্র - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯২৩).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সেবা

কামধেনু সংস্কৃতভাষার দৌলতে বাক্ ও অর্থের মধ্যে কোন নিত্য সম্পর্ক নাই; কুলীন ব্রাহ্মণের বহুপত্নীর ন্যায় এক কথার বহু অর্থ। সুবিধামত যে কোন একটার সহিত কথাটা যোজনা করিয়া দেওয়া চলে। তবে উভয়ত্রই অর্থসঙ্গতির অভাব ঘটিলেও তর্ক কচ্কচির অভাব হয় না।

 সেবা অর্থে পরের সেবাও বুঝায়, নিজের সেবাও বুঝাইতে পারে । ঠাকুরের সেবা অর্থে ঠাকুর ও পুরোহিতের উভয়ের সেবাই বুঝায়; অর্থাৎ খাওয়া ও খাওয়ান দুই বুঝাইতে পারে এবং কার্য্যতঃ দুইই বুঝাইয়া থাকে।

 প্রসন্নর বাড়ী দুর্গা প্রতিমা হইতে আরম্ভ করিয়া পর পর সব ঠাকুরই লোকে ফেলিয়া দিয়া গিয়াছিল তাহা সকলেই জানেন। নিঃসন্তান প্রসন্ন কার্ত্তিকেয়ের সেবা করিয়া ধন্য হইবে, এইজন্য পাড়ার লোকের ঘুম হয় নাই; তাই তাহারা বৎসরের শেষ ঠাকুরখানিও ফেলিতে ভুলে নাই। প্রসন্ন করিবে সুব্রহ্মণ্যের সেবা, আর গ্রামের আচণ্ডাল ব্রাহ্মণ পর্য্যন্ত সকলে সেবা লইবেন, ইহাই যে সেবার নিগূঢ় আধ্যাত্মিক তত্ত্ব, তাহা

২৯