(, , ) জ্বলিত অঞ্জন জিনি, চিকণ বরণ খানি, না পর অম্বর হেমমণি। আলিয়ে চিকুর পাশ, সদাই শ্মশানে বাস, তথাপি যে মন ভুলে কি লাগি না জানি ॥ পুরুষ রতন এক, চরণাভিরত দেখ, তার শিরে জটাজুট ফণি। তুমি কে তোমার ওকে, হেরি অসম্ভব লোকে, হেন অনুমানি যে ত্ৰিদশ চূড়ামণি ॥ অশরণ শরণ, জগত মনোরঞ্জন, অতি ধন চরণ দুখানি। কমলাকান্ত অনন্ত না জানে গুণ, তব রূপে আলো করে গগন ধরণী ॥ ১২ ॥ রাগিণী পরজ। তাল জলদ তেতালা । কত রঙ্গ জান গো শু্যামা ! মুমতি কুমতি গতি, তুমি সে কারণ ॥ প্রকৃতি পুরুষাকারে, নিরঞ্জনী নিরাধারে, যেরূপে যে জন ভাবে, সে পাবে তেমন, গো | কমলাকাস্তুের মনে, কে আছে তারিণী বিনে, যা কর আপনার গুণে, লইলাম শরণ ১৩ { রাগিণী খাম্বাজ । তাল একতালা । তোমার গুণ তুমি জান, আর কে জানে, গো ! কিঞ্চিৎ জানে অনাদি, সদাশিব শরণ লইল চরণে ॥ বিধি চতুরানন, সহশ্ৰবদন, হরি তব গুণ যশ কথনে । তথাপি নথর সীমা মহিমা না পাইয়ে; দীনস্থত কোন গণনে । ত্বং বিষ্ণু স্নায় বিশ্ববন্ধন কারণ, বিষ্ণুময়ী বিশ্ব পালনে। কমলাকান্ত জ্বারাধিত তব পদ, ভবজলনিধি তরণে ॥ ১৪ ॥
পাতা:কমলাকান্ত-পদাবলি.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।