( ১৩ ) রাগিণী ঝিঝিট। তাল টিমে তেতালা । শুনি মুমধুর নূপুর ধ্বনি, শ্রবণে । হর হৃদিপর নাচে ত্রিগুণ জননী ॥ আসব জানন্দ ভরে, নিজ তনু ন সম্বরে, বিহুরে শঙ্কর উরে শঙ্কর মোহিনী। যেন হুধাসিন্ধু নীরে নীল কমলিনী ॥ . গগণ ত্যজয়ে বিধু, পিয়ে পদাম্বুজ মধু, শ্ৰীচরণ নখারুণে হইয় দশখানি। কমলাকাস্তের গতি জলদ বরণী ॥ ৩৫ ৷৷ রাগিণী কালাংড়া। তাল জলদ তেতালা। সদানন্দময়ী সুধানন্দে বিহরে, রে। চিন্তামণি অন্তঃপুরে ভ্রাত্তি দূর করে। মূলাধারে সহস্রারে, হৃদয় পঙ্কজ বরে, অারে ইচ্ছাময়ী তিনখামে, তিন মূৰ্ত্তি ধরে, রে ॥ কমলাকাস্তের মন! তুমি তারে চিন্ত অণুক্ষণ, রে! পঞ্চাশদ্বর্ণ সার হার করে পর রে ॥ ৩৬ ৷৷ রাগিণী কালাংড়া । তাল কাওয়ালি । কালীজয় কালীজয় করাল বদন জয়, হেই মন ! বদনে বলন । আমি সদাই তোমার বশে, ভ্ৰমিতেছি মিছা আশে, একবার আমার মিনতি রাখনা, রে ॥ দারামুত ধন পেয়ে, মিছে উন্মত্ত হয়ে, আপনি আপনায় চেন না, রে। বিনি মাহিনীর চাকর হয়ে, ভূতের বোকামর বয়ে, এখন চেতন হলো না h • . r সংসার পাপের শেষ, মুখের নাহিক লেশ,তুমি তাজানিয়ে জান না। কমলাকাস্তের গতি, কঠিন হইল অতি কেন কর এত বঞ্চন, রে। ৩৭। २
পাতা:কমলাকান্ত-পদাবলি.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।