( 86 ) অতি সুশীতল, চরণ যুগল, প্রফুল্ল কমল প্রায়। কমলাকাস্তের, মন নিরস্তর, ভ্রমর হইতে চায় ॥ ১২৬ ৷ রাগিণী সিন্ধু। তাল পোস্ত। রঙ্গে নাচে রণমাঝে, কার কামিনী মুক্ত কেশী। হৈয়ে দিগম্বরী ভয়ঙ্করী, করে ধরে তীত্ব অসি ॥ কেরে । তিমির বরণী বামা, হৈয়া নবীনা ষোড়শী । গলে দোলে মুণ্ডমালা, মুখে মৃদু মৃদু হাসি ॥ বিনাশে দনুজগণে, দেখে মনে ভয় বাসি । দ্যাখ শবছলে চরণতলে, আশুতোষ পড়িল আসি ॥ কেরে! ডাকিনী যোগিনী, মায়ের সঙ্গে ফেরে অহনিশি। ঘন ঘন হুহুস্কারে, দিতির নন্দন নাশি ॥ কমলাকাত্রে মন, অন্ত নহে অভিলাষি । আমার কালরূপ অন্তরে ভেবে, সদানন্দ সদা সুখী ॥ ১২৭ ৷ রামপ্রসাদি সুর । তাল একতালা । তারা মা ! যদি কেশে পোরে তোল । তবে বাচি এ সঙ্কটে। আমার একুল ওকুল্ল দুকুল পাথার, মধ্যে শীতার বিষম হলো ॥ সঙ্গীগুলো হোলো ছাই, তাদের সঙ্গে ভেসে যাই ; ধরতে গেলে আমায় ধরে, ডোবে ডুবায় প্রাণ টা গেল । করেছিলাম যে ভরসা, না পুরিল সে সব আশা ; ভুলালে তখন ভুবলে এখন, আর কখন কি করবে বল। কমলাকাস্তের ভার, মা বিনে কে লবে আর ; ও মা! চরণতরি শরণ দিয়ে, সঙ্গে লৈয়ে দেশে চল। ১২৮।
পাতা:কমলাকান্ত-পদাবলি.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।