( ७७ ) --- কমলাকাস্তের ঠাই, আর কিছু কামনা নাই ; মুলে জাখি যেন দেখি, কালো বরণ সুধাময়। জলদ তেতাল ॥ ১৭৬ ৷৷ রাগিণী ঝিকিটু। তাল জলদ তেতালা । চাহিলে না ওমা ! কেন, একরার সুনয়নে । পতিত পাবনী নামে তারো গো ! ভজন-হীনে ॥ বঞ্চিত হয়েছি আমি, ওপা সাধনে । অকৃতি তনয়ে হয় মা ! তারিতে আপন গুণে ॥ কতশত দুরাচার, অনায়াসে করলে পার; এবারে জানিব মোরে, নিস্তার কেমনে। কমলাকাস্তেরে যদি, ত্ৰাণ কর ভবনদী ; তবেতো জানি তারিণি ! তার গো পতিত জনে ॥ ১৭৭ ৷ রাগিণী স্বরট মন্ত্রার। তাল জলদৃতেতাল।। ময়ি দীন হীন জনে, গো ! কুরু কৃপা এইবার। সুকুতি আকৃতি সুত, মায়ের সমান প্রীত, না ত্যজিও ভজন বিহীনে ॥ বিষয় বাসনা অতি, না জানি মা ! শ্রুতি স্কৃতি, মম গতি হইবে ' কেমনে। কমলাকাস্তের মনে, বিতরি করুণাধনে, নিজ গুণে যদি চাও নয়নে, গো ! ॥ ১৭৮ | রাগিণী টোড়ী ভৈরবী। তাল জলদ তেতালা। তুরিা! তবে তোমার, ভরসা বল কে করে । যদি আপনারি কৰ্ম্মফল, ফলিবে আমারে। যেরূপে ভ্রামাও তুমি, সেইরূপে ভ্ৰমি আমি ; মিছা মুখ দুঃখভাগী, কয়গো ! জামারে ।
পাতা:কমলাকান্ত-পদাবলি.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।