( ११ ) রাগিণী বেহাগ । তাল তিওট। আমি কি হেরিলাম নিশি স্বপনে । গিরিরাজ ! অচেতনে কত না ঘুমাও হে। এই, এখনি শিয়রে ছিল, গৌরী আমার কোথা গেল, হে ! আধ আধ মা বলিয়ে বিধুরদনে ॥ মনের তিমির নাশি, উদয় হইল আসি, বিতরে অমৃত রাশি, সুললিত বচনে। অচেতনে পেয়ে নিধি, চেতনে হারালামৃ গিরি, হে ! ধৈর্য না ধরে মম জীবনে ॥ আর শুন অসম্ভব, চারিদিগে শিবা রব ; হে । তার মাঝে আমার উমা, একাকিনী শ্মশানে। বল কি করিব আর, কে আনিবে সমাচার, হে! না জানি মোর গৌরী আছে কেমনে। কমলাকাস্তের বাণী, পুণ্যবতী গিরিরাণি, গো! যেরূপ হেরিলে তুমি অনায়াসে শয়নে। ওপদ পঙ্কজ লাগি, শঙ্কর হৈয়েছে যোগী, গো ! হর হৃদিমাঝে রাখে, অতি যতনে ॥ ২১৭ ॥ রাগিণী কেদারা । তাল একতাল । গিরি! প্রাণগৌরী আন আমার। উমা বিধুমুখ, না দেখি বারেক, এম্বর লাগে আন্ধার। . আজি কালি করি দিবস যাবে, প্রাণের উমারে আনিবে কবে ; % প্রতিদিন কি হে আমারে ভুলাবে, একি তব অবিচার। সোণার মৈনাক ডুবিল নীরে, সে শোকে রোয়েছি পরাণে ধরে ; ধিক হে আমারে ধিক্ হে তোমারে, জীবনে কি সাধ জার। কমলাকান্ত কহে নিতান্ত, কেন্দলাকো রাণি হও গো ! শান্তু , , কে পাইবে তো উমাৰ মন্ত তুমি কি ভাব আসার। ২১৮
পাতা:কমলাকান্ত-পদাবলি.djvu/৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।