এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কমলাকান্তের দপ্তর।
২৯
লাতেই সমস্ত কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়াছি। সে সূত্র-গ্রন্থের সারাংশ এই;—
১। জীবশরীরস্থ বৃহৎ গহ্বর বিশেষকে উদর বলে।
ভাষ্য।
“বৃহৎ”—অর্থাৎ নাসিকা কর্ণাদি ক্ষুদ্র গহ্বরকে উদর বলা যায় না। বলিলে, বিশেষ প্রত্যবায় আছে।
“জীবশরীরস্থ বৃহৎ গহ্বর”—জীবশরীরস্থ বলিবার তাৎপর্য্য এই যে, নহিলে পর্ব্বতগুহা প্রভৃতিকে উদর বলিয়া পরিচয় দিয়া কেহ তাহার পূর্ত্তির প্রত্যাশা করিতে পারেন।
“গহ্বর”—যদিও জীবশরীরস্থ গহ্বর বিশেষই উদর শব্দে বাচ্য, তথাপি অবস্থা বিশেষে অঞ্জলি প্রভৃতিও উদর মধ্যে গণ্য। কোন স্থানে উদর পূরাইতে হয়, কোন স্থানে অঞ্জলি পূরাইতে হয়।
২। উদরের ত্রিবিধ পূর্ত্তিই পরম পুরুষার্থ।
ভাষ্য।
সাংখ্যেরও এই মত। আধিভৌতিক, আধ্যাত্মিক, এবং আধিদৈবিক এই ত্রিবিধ উদর-পূর্ত্তি।
“আধিভৌতিক”—অন্ন ব্যঞ্জন সন্দেশ মিষ্টান্ন প্রভৃতি