পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺忒研征 গেছে, তুমি ও যে যেতে ব’সেছ”-হীরালাল তাহার পর দুই চারি দিন আর বাড়ীতেই আসে না । মধ্যাহ্নে একদিন তরঙ্গিণী শাক অন্ন প্ৰস্তুত করিয়া মেয়ে ছেলেদের পাতে ঢালিয়া দিয়াছে, এমন সময়ে হীরালাল উপস্থিত হইল। তাহার পয়সা চাই। তরঙ্গিণীর হাতে সেদিন একটিও পয়সা ছিল না। এ হীরালাল তাহা শুনিল না, রাগ করিয়া জুতা পরা পায়ের লাখীতে ভাতের হাড়ী ভাঙ্গিয়া দিল। হাড়ীতে ভাত নাই দেখিয়া বুভুক্ষিত পুত্রকন্যার পাতের ভাতগুটিকেই পা দিয়া ছাড়াইয়া ও মাড়াইয়া এমন করিয়া দিল যে, কেহ কুড়াইয়াও খাইতে না পারে ; তৎপরে গৃহিণীকেও মাটীতে ফেলিয়া দুই পায়ে দলিয়া চলিয়া গেল। সে চলিয়া গেলেই তরঙ্গিণী গায়ের ধূলার সঙ্গে হৃদয়ের রাগ অভিমান ঝাড়িয়া ফেলিয়া উঠিল এবং ভিজা কাঠ চোখের জলে ভিজাইয়া ধূম ও বিষাদজনিত অশ্রা" মুছিতে মুছিতে ক্ষুধাৰ্ত্ত পুত্রকন্যার জন্য আবার নূতন করিয়া রাধিতে বসিল । R হীরালাল সেই যে রাগ করিয়া চলিয়া গেল, তাহার পর আর দুই দশ দিন বাড়ীতে আসিল না। তরঙ্গিণীর সঞ্চয় শেষ হইয়াছিল। সে ধার করিয়া, গোপনে ভিক্ষা করিয়া, নিজে অৰ্দ্ধাশনে ও অনশনে থাকিয়া, কোন রকমে কয়েকদিন সংসার চালাইল ; কিন্তু ধারের উপরে প্রত্যহ কে ধার দেয় ? মানের ভিক্ষায় কত দিন চলে ? শেষে এমন একদিন আসিল, যেদিন আর কোন উপায়ই হইল না, কোথাও কিছু निशिल नl,- না ধার না ভিক্ষা ! সে মুখটি শুকাইয়া পা ঘসিয়া ঘসিয়া কাতায়নীর S80) క్కీ .