পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা ঘুরিতেছিল। সে কিছুক্ষণ স্তব্ধভাবে বসিয়া থাকিয়া ‘লজ্জানতমুখে ধীরে ধীরে বলিল, “এ সবের আমি কি জানি, বাবা ?--কি ভাল কি মন্দ তুমি ভাল জান ; আমি ত এখনও সব বুঝতে শিখি নি।” অতি শৈশবে কমলা তাহার মাকে হারাইয়াছিল । সংসারে অন্য পরিজন, ছিল না । কেবল পিতাকে মাত্ৰ সহায় করিয়া সে এত বড় চইয়াছে। আর সূৰ্য্যনারায়ণেরও এই কন্যাই সংসারের একমাত্র অবলম্বন। যেদিন চাইতে সে কিছু কিছু বুঝিতে শিখিয়াছে, সেই দিন হইতেই সংসারের যত কিছু কথা—যাহা কিছু পরামর্শ, সবই তিনি তাহাকে লইয়া প্তির করিয়া আসিতেছেন। তিনি একটু হাসিয়া বলিলেন, “কোন কাজটা আমি তোমাকে না ব'লে করি, কমলা ? অন্য কিছুতেও তত কিছু যায় আসে না, এটা যে শুধু তোমার সুখ-দুঃখের চিরজীবনের, মা ! অন্যে যে যাই করুক, আমি আর সব কাজের মত এটাও তোমার মতামত না বুঝে স্থির ক’রব না।”-কমলা কোন কথা কহিল না ; তিনি একটু থামিয়া আবার বলিলেন, “আর একটা কথা তুমি জান না, তোমার প্রস্থতি যেদিন জন্মের মত চ’লে যাদের, সেই দিন আমার হাতে ধ’রে কঁাদূতে কঁদিতে ব'লে। গৈছে—“তুমি রইলে, আমার কমলা রইল দেখো—তার চােখের এক ফোঁট ধা জল, আমার এই হিমাঙ্গের সমস্তটুকু রক্ত !!'-আমি যদি ভাল ভেবেও একটা । কাজ করি, আর তার ফলে তোমার সুখ না হয়, তা”র আত্মা শান্তি প’বে না ; আমিও কি ম’রে নিশ্চিন্ত হ’তে পারব ?” কক্ষমধ্যে ক্ষণকাল একটা গভীর নিস্তব্ধতা বিরাজ করিল। সূৰ্য্যনারায়ণ দূর আকাশে দৃষ্টি ন্যস্ত করিয়া নীরবে বসিয়া রহিলেন। ২০াঙ্ক বড় বড় ভাসা ভাসা চক্ষু দুটি জলে ভরিয়া উঠিয়াছিল, সে তাঙ্গা-মূৰ পাছগুছিতে উঠিয়া, মালার সরঞ্জামগুলি তুলিয়া রাখিয়া, বাহিরে চলিয়া ॥ইবার সময়ে s