পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা গভীর গর্জন করুক, তোমার আমার ত’তে ভয় কি ? পরস্পরের ভালবাসা নিয়ে কি আমরা সে সবই সইতে পারব না ?” কমলা চক্ষু মুদ্রিত করিয়াছে দেখিয়া বিরাজ আর তাহাকে ডাকিল না, তাঙ্গার স্বেদসিক্ত ললাটে মৃদু মৃঢ় ব্যজন করিয়া তাহাকে ঘুম পাড়াইতে চেষ্টা করিল। অদৃষ্টাকাশে যখন কোন বিপদের মেঘ গাঢ় হইয়া উঠে, মানুষের অন্তরে যেন তাহার একটা ছায়া পড়িয়া থাকে । সে ছায়া যে একটা আসন্ন দুৰ্ঘটনার পূৰ্ব্ব-সূচনা মানুষ সুখের মধ্যেও তােহা বেশ বুঝিতে পারে। কমলার অদূরভবিষ্যতে কি দুঃখের মেঘ উঠিয়া তাহার বর্তমান সুখের উপরে এই ছায়াপাত করিতেছিল, বিরাজ অনেকক্ষণ ভাবিয়াও তাঙ্গা অনুমান করিতে পারিল না ; শেষে আপনিও সেই জ্যোৎস্নাবিভাসিত গগনে মেঘাচ্ছায়া দেখিতে দেখিতে নিদ্রিত হইল। সুধাংশু নীলকমলের সহোদর পুত্র। শৈশবে পিতা মাতা হারাইয়া সে পিতৃব্যের আশ্ৰয়েই লালিত হইয়াছে। বাল্যকাল হইতেই লেখা পড়ায় তাহার তাদৃশ মনোযোগ ছিল না, সঙ্গীত ও ব্যায়াম লইয়াই দিন কাটাইত; ফলে সে একটিও পাস করিতে পারে নাই, কিন্তু বেহালা ও সেতার প্রভৃতি খুব ভাল বাজাইতে পারিত, আর বলে গ্রামের কোন যুবাই তাহার সমকক্ষ ছিল না। বয়সে সে বিরাজের অপেক্ষা দুই এক বছরের ছোট, কিন্তু আকৃতি দেখিয়া তাহাকেই বড় বলিয়া মনে হয়। নীলকমল তাহাকে বাড়ীতে থাকিয়া বিষয়-কৰ্ম্ম দেখিতে বলেন, সেটা তাহার মোটেই ভাল লাগে না । একটা কিছু RV