পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা অশেষগুণালঙ্কত পরিচারিকা বোধ হয় অল্পই দেখিয়াছেন। প্ৰতিবেশিনীর বলেন, “মোহিনী কুঁচুলের রাজা-কেঁইএর সন্দার-মিছে কথার ধুকৃত্নী।” তাহার জন্য কাহারও মাচায় পাই ডগা মেলিতে পায় না,উঠানে নটে বা পালম্। মাথা তুলিতে পায় না, কলার গাছে কঁাদি পড়ে না, পুকুরে মাছ থাকে না, বাগানে তাল,বেল বা নারিকেল পড়িয়া থাকিতে পায় না। কুড়ে মানুষের মত সে কখন সমস্ত রাত্রি বিছানায় পড়িয়া থাকিতে পারে না, সকলে ঘুমাইলেই মার্জারসঞ্চারে বাহির হইয়া পরের বাতায়নপাশ্বে পরিক্রমণ করে, ছিদ্র পাইলে দেখিতে চেষ্টা করে, না পাইলে কাণ পাতিয়া তাহদের পেটের কথাগুলি পৰ্য্যন্ত চুরি করিয়া আনে। এই বিকটদৰ্শন নিশাচরী একদা তাহার নৈশরহস্য-মৃগয়ায় যাত্ৰা করিবে এমন সময়ে কমলার কক্ষদ্বারের অবকাশ দিয়া সুতার সঞ্চারে আলোকরশ্মি নির্গত হইতে দেখিতে পাইল ; এবং তৎক্ষণাৎ কাতায়নীর ঘুম ভাঙ্গাইয়া সেই অদ্ভুত আলোকদর্শনের কথা নিবেদন করিল। ঘরে আগুন লাগিয়াছে শুনিয়াও বোধ হয়। কাত্যায়নী সে নিশীথ নিদ্রার ঘোর লইয়া তাদৃশ ক্ষিপ্ৰতা পরিগ্ৰহ করিতে পারিতেন না ; তদণ্ডেই আসিয়া তিনি কমলাকে দ্বার খুলিতে বলিলেন এবং দ্বার উদঘাটত চইলে সবিস্ময়ে দেখিলেন, আলোকের নিকটে একখানা অৰ্দ্ধ লিখিত পত্র ও দোয়াত, কলম প্ৰভৃতি লিখিবার সরঞ্জাম! ব্যাপার কি তাহা বুঝিতে র্তাহার ক্ষণমাত্রও বিলম্ব হইল না, রোষকষায়িতনেত্ৰে তীব্রস্বরে বলিলেন, “বলি-হঁ, গা ! কত দিন তোমাকে বলি নি যে এ লক্ষ্মীছাড়া খিরিষ্টানি কাণ্ড আমার ভিটতে চ’লবে না ?” ية কমলা অধোবদন-নিরুত্তর! কাত্যায়নী আর বৃথা বাক্যে নিদ্রার সময় নষ্ট না করিয়া প্ৰকৃত কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া দিলেন-কলািমটাকে চাপিয়া as