পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা দেখিয়া, উপর উপর একটু ফেলিয়া দিয়া খাইতে দিবে-ঝাড়া বিছানাটিও শুহঁতে যাইবার পূৰ্বে আর একবার অচল দিয়া ঝাড়িয়া দিয়া যাইবে ? 4াড়ী থেকে যাইবার দিনে কে আর তেমন করিয়া হাতে দেবতার নিৰ্ম্মাল্য ও হৃদয়ে মঙ্গল-কামনা লইয়া দাড়াইয়া থাকিবে, প্ৰণাম করিতে গলে মনে মনে আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে নিৰ্ম্মালাটি মাথায় বুলাইয়া দিবে? তাহাকে পাইয়া অবধি যে আমি জননীর নষ্ট স্নেহ ফিরিয়া পাইয়াছিলাম-জননীর অভাব ভুলিতেছিলাম, তাহা কি তোমরা বুঝিতে পরিবে ? তিনি যদি আবার কখন ফিরিয়া আসেন, তবেই আমিও কখন বাড়ী ফিরিব; নচেৎ বিদেশেই এ অনাবশ্যক জীবনের সমাধি "اسست عامة نة পড়িতে পড়িতে বিরাজের চক্ষু দুটি অশ্রুভারাক্রান্ত হইয়া উঠিয়াছিল। পত্ৰখানা ফেলিয়া সে চক্ষু মুছিতেছিল, এমন সময়ে চাকর আর একখানা পত্ৰ আনিয়া দিল। বিরাজ পত্ৰখানাকে খুলিয়া পড়িয়া দেখিল, নীলকমল সাংসারিক অন্যান্য কথার শেষে লিখিয়াছেন, “-আর বৈশাখের প্রথমেই শ্ৰীমতী বধু মাতাকে আনিবার দিন ধাৰ্য্য করিয়া পাঠাইলাম। তঁহাকে আর সেখানে ফেলিয়া রাখাটা ভাল হইতেছে না । গ্রামে তাহাতে নিন্দা হইতেছে।—” বিরাজ তখনই দোয়াত কলম পাড়িয়া সুধাংশুকে এই শুভन३दांश विश्वि १iांछेदा। মতভেদটা সমাজে এক প্রকার সাংসিদ্ধিক ; কোন একটা বিষয়কে সকলেই ভাল বা মন্দ বলিতে চাহে না, যাহারা যাহা বলে তাহারাও অধিক দিন তাহাই বলিতে পারে না। বাপের বাড়ী যাওয়ার জন্য যাহারা প্রথমে কমলাকেই দোষ দিয়াছিল, তাহারাই আবার পরে বয়স্থা বধূকে। স্বীপরিজনশূন্য পিতৃগৃহে ফেলিয়া রাখার জন্য নীলকমলকেই দোষ দিতে ve