慕° 33 শ্ৰীমন্তের মশান গীতাভিনয় কষ্টে সংসারে জলাঞ্জলি দিয়ে ( খ্ৰীমন্তকে দেখাইয়া) এই ভিক্ষার বুলিট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষ কোরে বেড়াই, দয়া কোরে ভিখারিনীর ভিক্ষার বৃলিট ত্যাগ কর, আমি ভিক্ষ কোরে খাইগে, (খ্ৰীমন্তের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া) একি ! একি সৰ্ব্বনাশ! বৎস ক্রমন্তের যে আমার দুটি কমলহস্ত বন্ধন কোরেছে, আহা ! বাছ আমার কতকষ্ট কত যাতনাই পাচ্ছে, বন্ধন যাতনায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছে, কেঁদে কেঁদে দুটা চক্ষু ফুলিয়েছে, উচ্চৈস্বরে মামা বোলে ডেকে তৃষ্ণায় হয়তো বাছারগলা শুকিয়ে গিয়েছে, আহা ! খুলনা যে আমার হাতে হাতে শ্ৰীমন্তকে সঁপে দিয়েছিল, আমি তা একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম, হায় আমি কি কঠিন! খুল্লন যদি ভ্রমন্তের মুখে আমার নির্দয় ব্যবহারের কথা শুনে, তাহোলেতো খুলনা আর আমাকে মা বলে ডাকবেন, মা দুর্গা বোলে ভক্তি করবেন, তবে আমার উপায় কি হবে, আমি যাব কোথায়, কার কাছে গিয়ে দাড়াব, কারমুখ দেখে প্রাণ জুড়াব, কে আমাকে আদর কোরে খেতে দেবে, কে আমাকে ভক্তি কোরে পূজা কোরবে, খুলনার মত ভক্তি মাখান মেয়ে যে আর আমার কেহ নাই, সে যদি আমাকে অভক্তি করে, তাহোলে আমার দুৰ্গতির সীমা থাকবেন, হায় হায় আমি না বুৰে কি অন্যায় কাৰ্যই কোরেছি! (ক্রমন্তের কাছে বসিয়) সুপি চকু মেলে চেয়ে দেখ আমি তোরমা এসেছি, আর তোরস্টয়নাই, আর তোরে কেউ মারবেন, দুঃখিনীর ধন কে তোরে বন্ধন করেছে, কে তোর কমল প্রাণে ব্যথা দিয়েছে, শ্ৰীমন্তরে ! তোর বন্ধন দেখে যে আমার প্রাণ ফেটে
পাতা:কমলেকামিনী দর্শন.djvu/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।