করিম সেখ RS আমার কথা শুনে সে বলল যে, যদি কখন কিছুর অভাব হয় তা হ’লে যেন তাকে জানাই। আর যখন যা কিনে কেটে আনতে হবে, পয়সা তাকে দিলে সে এনে দিয়ে যাবে। আমরা তা হাটে বাজারে যেতে পারব না। এতদিনও ত যাই নাই, এখন কি আদেষ্টে আছে আল্লাই জানেন। সে আরও বলল যে, সে রোজই এসে আমাদের তত্ত্বতালাস ক’রে যাবে।” বসিরের স্ত্রী বলিল “তাকে এ বাড়ীতে আসতে নিষেধ করলেই उांव्या क्रुद्ध८ड् भl !” বুড়ী বলিল “না বাছা, সে কি বলা যায়। তার ত কোন অপরাধই দেখি না। এই ত গায়ে কত লোক রয়েছে, কৈ আর কেউ ত ডেকে জিজ্ঞাসা করতেও এলো না। তুমি বোমা, একটু স্থির শান্ত হোলেই বুঝতে পারবে যে, ও আমাদের কত ভাল বাসে, ওর ধার কি কখন শোধ হবে ।” al বছিরের স্ত্রী দেখিল যে, করিমের উপর তাহার শাশুড়ীর অগাধ বিশ্বাস। সে তখন চুপ করিয়া রহিল। সে মনে মনে স্থির করিল, করিম যদি ইহার পর কোন দিন তাহার সহিত ঘনিষ্টতা করিতে আসে, কোন দিন কোন প্রকারে অন্য ভাব প্ৰকাশ করে, তবে সেই দিন হয় তাহাকে বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দিবে, আর না হয়। সে নিজে তাহার শ্বশুরের ভিটার মায়া ত্যাগ করিয়া যাইবে । বসিরের স্ত্রী তখন ঘরের মধ্যে যাইয়া তাহার রূপার পৈছে বাহির করিয়া আনিল এবং শাশুড়ীর হাতে সেই পৈছা দিয়া বলিল “মা, এই গহনাখানি বেচে যা পাওয়া যাবে তাই দিয়ে এখন আমাদের চলুক, তারপর যা হয় হবে।” বুড়ী বলিল “না মা, এখন ও গহনা বেচবার দরকার নেই।
পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।