পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ම8 করিম সেখ খেতে হয়,--না খেয়ে মরে যেতে হয় তাও স্বীকার, তবু আমি আর নিকা ‘পুষ্যবো” না-কিছুতেই না। আমার স্বামী ম’রেছে, তাতে कि ? त्रांत्रिं ५थन७ उांव्ररे औ,-यऊनि वैष्त्र उांब्रहे थ्री থাকব। কা’ল থেকে আমি এ বাড়ীর-ঐ কুকুর যে বাড়ীতে আসে যায়, সে বাড়ীর দানাপানি পেটে দেব না। আমি ভিক্ষা কোরে খাব।” যুবতীর মুখ দিয়া আর কথা বাহির হইল না, ক্ৰোধে ক্ষোভে তাহার সর্বাঙ্গ। কঁাপিতে লাগিল। বুড়ী ত এতটুকু হইয়া গেল। সে যে কি বলিবে তাহা ভাবিয়া পাইল না । করিম রাগে ফুলিতেছিল, তাহার নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া আসিতেছিল। অনেক চেষ্টায় রাগ কিঞ্চিৎ দমন করিয়া সে বলিল “বেশ কথা, তাই হোক। কাল থেকে আর তোমাদের জন্য আমি কিছু কোরব না.। কি-ছোট মুখে বড় কথা ? এত বড় সাহস তোমার ; আমার খেয়ে, আমাকেই অপমান করা! দেখব। তুমি কেমন মেয়ে। তোমার সর্বনাশ যদি করতে না পারি, তবে আমি পুরুষ বাচ্চাই নই-মুসলমান নাই।” এই বলিয়া করিম ক্ৰোধাভরে চলিয়া গেল। : বুড়ীও বউয়ের উপর হাড়ে চটিয়া গিয়াছিল। কিন্তু সে একটী কথাও না বলিয়া ঘরের মধ্যে চলিয়া গেল, ধীরে ধীরে আপনার বিছানায় শয়ন করিল। বউ দেখিল, শাশুড়ী তাহার উপর রাগ করিয়াছে। এখন আর তাহার রাগ ভাঙ্গিবার চেষ্টা করিয়া কাজ নাই। আজ থাকুক, কাল তাহার রাগ পড়িবে। করিম যে তাহাকে ভয় দেখাইয়া গেল, তাহা সে কাণেও তুলিল না। সে জানিত উপরে একজন আছেন, তিনি দিন-দুনিয়ার মালিক’; তিনি নিরাশ্রয়কে রক্ষা করেন। সে তাঁহার কৃপা কি পাইবে না ?