পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 করুণ “কোন চিন্তা করিও না, বিহার মধ্যে সহস্ৰাধিক অস্ত্রধারী ভিক্ষু আছে, তাহারা শাস্ত্রই ইহাদিগকে নিধন করিবে ।” কৃষ্ণবস্ত্রাবৃত পুরুম তোরণ-স্তম্ভের অন্তরালে দাড়াইয়া সমস্ত শুনিল এবং ধীরে ধীরে দূরে সরিয়া গিয়া বস্ত্রনধ্য হইতে বংশী বাহির করিয়া তীব্রস্বরে বাদন করিল। তাঙ্গ শুনিয়া বিহারের বহির্দেশ হইতে বহু পুরুষ তোরণদ্বার ভাঙ্গিয় উল্কাহস্তে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিল। সেই শব্দ শুনিয়া উদ্যানমধ্যে গোবিন্দ গুপ্ত চমকিত হইলেন । যে সমস্ত সেনা তোরণ ভাঙ্গিয়া প্রবেশ করিয়াছিল, তাহাদিগের নায়ক কৃষ্ণবস্ত্রাবৃত পুরুষকে অভিবাদন করিল। তিনি কহিলেন “বিচারবাসী সমস্ত নরনারীকে বন্দী কর।” তখন বহু খণ্ডযুদ্ধ আরম্ভ হইল, ভিক্ষুগণ পূৰ্ব্বে অন্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিল কিন্তু অতর্কিতভাবে আক্রান্ত হইয়া তাহারা শিক্ষিত সেনার সম্মুখে তিষ্ঠিতে পারিল না । কতক ভিক্ষু নিহত হইল এবং অধিকাংশ আত্মসমর্পণ করিল। উদ্যানমধ্যে বিশ্ববৃক্ষতলে দাড়াইয়া গোবিন্দ গুপ্ত মুরারিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মুরারি, ব্যাপার কি ?” “প্ৰভু কিছুই ত বুঝিতে পারিতেছি না।” দূর হইতে কৃষ্ণবস্ত্রাবৃত পুরুষ কহিলেন, “গোবিন্দ, চিন্তা নাই, আমি আসিয়াছি।” কণ্ঠস্বর শুনিয়া মহারাজ-পুত্র চমকিত হইলেন এবং কহিলেন, “কে, পিতৃবা ?” উত্তর হইল “ই।” তখন গোবিন্দগুপ্ত, মুরারি ও তাহার অনুচরগণ উদ্যান হইতে বাহির হইয়া দামোদর শৰ্ম্মার নিকটে আসিলেন, মহারাজ-পুত্র প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “পিতৃব্য । এ কি ব্যাপার ?” “কি ব্যাপার গোবিন্দ?” “আপনি আসিলেন কেন ?” “আমি না আসিলে তোমাদের কি একজন ফিরিতে পারিত ?” “কেন ?” “বিহার মধ্যে সহস্রাধিক অস্ত্রধারী ভিক্ষু তোমাকে হত্যা করিবার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল ” “কেন ?” “কল্য জানিতে পারিবে।” “ইন্দ্রলেখ