পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ જે જે হয় অগ্নিগুপ্ত ?” সৈনিকের কথা শুনিয়া তোরণের সমস্ত সেনা নিঃশব্দে হাসিয়া উঠিল। তখন সে তাতার পাশ্বস্থিত সেনাকে জিজ্ঞাসা করিল, "এবার কে আসিল হে ;" “বোধ হয় গৌড়ীয় বলাধিকৃত ভানুমিত্র।” প্রথম সেনা কহিল, “ওহে, এই ভানুমিত্র সাধারণ লোক নহে, অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে একাকী এক গুল্ম-সেনা লইয়া সমস্ত শকরাজার বিরুদ্ধে ন স ঠি{ র রক্ষ। করিয়াছিল। ভানুমিত্র যুবরাজের দক্ষিণ-হস্তস্বরূপ। মল্লারাজাধিরাজের পালিত কন্যা করুণ দেবীর সহিত ইহার বিবাহ গুচয়াছে। এই গোড়া সেনাপতি একদিন যুবরাজ ভট্টারকপাদয় মইসেনাপতি হইবে।” এই সময়ে মহাকায় গজারোহণে রুদ্ধ মহামন্ত্রী তোরণে উপস্থিত শুইলেন । অভিবাদনান্তে তাঙ্গকে লইয়া মহা প্রতাহার উদ্যানমধ্যে প্রবেশ করিলেন, উদ্যানের তোরণ রুদ্ধ হইল । উদ্যানমধ্যে মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত সোধে পরমেশ্বর পরম-ভাগবত পরম-ভট্টারক মহারাজাধিরাজ কুমারগুপ্তদেব স্বর্ণসিংহাসনে উপবিষ্ট আছেন। তাহার সম্মুখে গোবিন্দগুপ্ত, স্কন্দগুপ্ত, অগ্নি গুপ্ত উপবিষ্ট আছেন । দামোদর শম্মাকে দেখিয়া সকলে আসন পরিত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন এবং তিনি আসন গ্রহণ করিলে সকলে উপবেশন করিলেন। মহাপ্ৰতীহার কৃষ্ণগুপ্ত তোরণের পাশ্বে কোষমুক্ত অসিহস্তে দণ্ডায়মান হইলেন । মন্ত্রণা আরম্ভ হইল । মহারাজাধিরাজ কহিলেন, “পিতৃব্য, গোবিন্দ অদ্যই জালন্ধর যাত্রা করিবে । যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে । গোবিন্দের কি বক্তব্য আছে আপনার তাহা শ্রবণ করুন ।” 参 গোবিন্দ । পিতৃব্য, বাহুলীক ও কপিশা অধিকৃত হইয়াছে, গান্ধার ও নগরহার অতিক্রম করিয়া দূত ও সার্থবাহগণ যাইতে পারিতেছে না, অচিরে পুরুষপুর ও তক্ষশিলা আক্রান্ত হইবে। শকমগুলের সীমান্তে যে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।