প্রথম পরিচ্ছেদ 6. গুপ্তসাম্রাজ্যের মহাবলাধিকৃত করিয়াছিল ? আমি বলিত্ত্বেছি যে তোমার ঐ আকর্ণবিশান্ত নয়নযুগল নিতাই এই দাসীর মুখ দেখিয়া কষ্ট পাইবে।” “সমস্ত বুঝিলাম না।” “নতা নিতাই আদার এই দগ্ধবদনখানি তোমার নয়নগোচর হইবে।” “কেমন কীিয় ?” “সঙ্গে লইয়া গিয় |”, “डूर्भि কি পাটলিপুত্রে বাইবে ?” “নিশ্চয় ঘাইৰ ” “কেন ?” “অনেক কারণ আছে। প্রথম-বিশ্বাসঘাতক, মিথ্যাবাদী, চাটুকার পুরুষজাতিকে এক ছাড়িতে নাই দ্বিতীয়–অনেক দিন রাজধানী ফুেখি নাই, তৃতীয়— বিরঙ্গ একান্ত অসহ্য, চতুর্গ—জোতিযের বচন : “জ্যোতিমের বচনট কি ?” “দৈবজ্ঞ গণিয়া বলিয়াছেন যে, দুই তিন ৰৎসরের মধ্যে আমার অদৃষ্ট বিরং-বেদন সহকরা লিখে নাই।" "সে কি.করণ, তুমি এখন পাটলিপুরে যাইবে কেমন করিয়া ?” “কেন, শিবিকায় ?” “কুমার আমাকে স্বতশাস্ত্র সম্ভব রাজধানীতে যাইতে বলিয়াছেন, আমি অশ্বারোহণে যাইব, শিবিক কি এত দ্রুত চলিতে পারিলে ?” “তবে রথে যাইব । বিবাহের পরে পাটলিপুত্র হইতে রথে চারিদিনে গৌড়ে আসিয়াছিলাম,
মনে আছে কি ?” এই সময়ে ঘাটের উপর হইতে কে বলির উঠিল, “আছে বই কি, খুব আছে, রথের ঝাকানিতে মাংস অস্থি ছাড়িয়া পলায়ন করিয়াছিল । ঠাকুরাণি, আপনার কৃতদাসটার উদরে বিষম ক্ষুধা, অথচ চোখে লজ্জা । আপনি নিশ্চয় রাজধানী যাইবেন, তাহা ন হইলে আমি অন্নাভাবে দেহত্যাগ করিব। আমি রথ লইয়া আসি কেমন ?”
- যুবতী মস্তকে অবগুণ্ঠন টানিয়া দিলেন, যুবক সরিয়া বসিলেন, একজন কৃষ্ণবর্ণ স্থূলকায় বিরলকেশ ব্রাহ্মণ মাধবকুঞ্জের দ্বারে আসিয়া দাড়াইল । যুবক জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঋষভ যে, তুমি কোথায় ছিলে ?” “কেন তোমার পিছন পিছন।” “সে কি, তোমার ঐ বরবপু আমার পিছনে পিছনে আসিতেছে, তাহা আমি জানিতে পারিলাম ন}}*