X X • করুণা অগ্নিগুপ্ত কখন অন্য প্রার্থনা করে নাই ।” “তাছাই হইবে, অগ্নিগুপ্ত তুমিই ধন্ত, তোমার শোণিতে কুমারগুপ্তের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইবে। একবার কিন্তু—” # * “কিন্তু কি ? দ্বিতীয়বার গোবিন্দগুপ্ত, স্কন্দ গুপ্ত, হর্ষগুপ্ত, সমুদ্র গুপ্তের ংশে এখনও বহু বার আছে। হে ব্রাহ্মণ, আত্মবলি দিতে কেহ পরামুখ নহে, বল ।” “মহাসেনাপতি ! শান্ত হও, তৃণযুদ্ধে ধীরতার আবগুক আছে, খহু নরবলির আয়োজন হইয়াছে । স্কনদ গুপ্তকে বলি ও যে, আর্যাবৰ্ত্ত-রাজ যে দিন পবিত্র গঙ্গা-যমুনা সঙ্গমে প্রতিষ্ঠানের প্রাচীন যুদ্ধক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় মাগধসেনা লষ্টয়া আত্মবিসজ্জন দিবেন, সেই দিন আর্য্যাবৰ্ত্ত রক্ষা হইবে।” “আচাৰ্য্য তুমি কি বলিতেছ ?” “যাহা বলিতেছি তাহা তুমি বুঝিবে না।” “কে বুঝিবে ?” “যশোধৰ্ম্মদেব ও বালাদিত্য বুঝিবে।” “তাহার কে ?” “আর্যাবপ্তের পরিত্রাত; ” “ব্রাহ্মণ, যাহাই হউক আর্য্যাবৰ্ত্ত রক্ষণ হইবে ? —ইহাই আমার সুখ । গুপ্তসাম্রাজ্য, গুপ্তবংশ রসাতলে বাউক, সহস্ৰ স্কল গুপ্ত, লক্ষ অগ্নিগুপ্ত যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হউক তাহাতে ক্ষতি নাই ; তীর্থ ও দেবতা—রমণী ও শিশু রক্ষিত হউক ৷” সহসা গ্রহাচাৰ্য্য উঠিয়া দাড়াইল এবং বৃদ্ধ সেনাপতিকে আলিঙ্গন করিয়া কহিল, “মহাবলাধিকৃত, তুমি ধন্ত, যুগে যুগে কল্পে কল্পে তোমার ন্যায় সুসন্তান মাতৃভূমির রক্ষণকল্পে আত্মবিসৰ্জ্জন দিতে প্রস্তুত হয়। বিধিলিপি অখণ্ডনীয়, তাহ হইবার নহে। ভবিষ্কং অন্ধকার, সেই তমসাচ্ছন্ন যুগে তোমার হায় মঙ্গপুরুষ আবার যেন দেখিতে পাই । অগ্নি গুপ্ত, আবার আসি ও—দেবতা ও রাহ্মণ, রমণী ও শিশু রক্ষা করিতে আবার আসি ও । ব্রাহ্মণ কাদিয়া উঠিল এবং উন্মত্তের ন্যায় উদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। অগ্নিগুপ্ত ও ইন্দ্রপালিত স্তম্ভিত হইয়া অৰ্দ্ধদণ্ড কাল সেইস্থানে দণ্ডায়মান
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।