পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や করুণা “কেমন করিয়া পরিবে বল। যখন ভানুমিত্র মঙ্গবলাধিকৃত থাকে, তখন তাহার চক্ষু থাকে, কর্ণ থাকে, নাসিক থাকে, জিহবা থাকে, স্পর্শ থাকে, আর—” বর্তী জিজ্ঞাসা করিলেন—“আর কি ঠাকুর ?” “আর যখন ঐ রক্তিম কোমল পদপল্লব তলের একনিষ্ঠ সেবক দেবীর চিন্তা করিতে করিতে পথ চলে, তখন সেটা পঞ্চেন্দ্রিয়বিহীন পি গুমাত্র" লজ্জার করুণাদেবীর মুখখানি আবার রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, :ি মস্তকের অব গুণ্ঠন টানি দিলেন। ভানুমিত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, "সভ আজিকার দিনের আঙ্গর ক্রিয়াটা ত সুসম্পন্ন হইয়াছে, তবে ত ঠাৎ অপরাহ্লে আমার পিছন লইলে কেন ?” “দেখিলাস, পাটলিপুত্র হতে অশ্বারোহণে সম্রাটের দত আসিয়াছে দূত গোড়নগরে প্রাসাদে অপেক্ষা না করিয়া একেবারে উপনগরে প্রমোদ-উষ্ঠানে আসিয়া উপস্থিত, সুতরাং ব্যাপার গুরুতর। হয় বর্ষব্যাপী ফলাহার, না হয় দীর্ঘ উপবাস । দূতকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম যে, সে পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব পরমভট্টারক যুবরাজ স্কন্দগুপ্তদেবের নিকট হইতে সুবরাজ ভট্টারকপালয় মহাবলাধিকৃত ভাতুমিত্রদেবের নিকটে পত্ৰ লইয়া আসিয়াছে। কাজেকাজেই পিছু লইতে হইল। দাদা, রবরাজের বিবাহ নাকি ?” “না ভাই, বিবাহ যুবরাজের নহে, স্বয়ং মহারাজাধিরাজের। তাছার সঠিত গুপ্তসাম্রাজ্যের আদ্যশ্রাদ্ধ উপস্থিত ” “প্রথম সংবাদটি বড়ই শুভ, মহারাজাধিরাজ ইচ্ছা করিলে সহস্র বিবাহু করিতে পারিবেন, তাহাতে ব্রাহ্মণ-সমাজের বড়ই মঙ্গল, নিতাই বাহ্মণভোজন । তাহার ত আর সম্মার্জনীর ভয় নাই। তবে শেষের কথাটা কি বলিলে ?” “মঙ্গরাজধিরাজের বিবাহের সহিত গুপ্ত-সাম্রাজ্যের আদ্যশ্ৰাদ্ধ উপস্থিত।” “সে আবার কেমন কথা !” “ঋষভ, ব্যঙ্গ নহে, সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত । সেইজন্তই কুমার আমাকে সত্বর পাটলিপুত্রে যাইতে আদেশ করিয়াছেন।” , “তবে ফলহারের আশা বৃথা ?” “বড়ই বিপদ ভাই, এখনই যাত্রা করিতে ठु 闵

汗, f