>>や করুণা করুণ আমাদিগের সহিত পঞ্চনদে যাইবে, মাতা সম্মতি দিয়াছেন। অন্ত যাত্রা করিতে হুইবে না, কল্য মধ্যাহ্নে শুভ-মুহূৰ্ত্ত আছে, কল্য যাত্রা করিতে হইবে।” যুবরাজের কথা শুনিয়া ঋষভদেব কঁাপিতে কঁাপিতে বসিয়া পড়িলেন এবং কহিলো, “নারায়ণ একি করিলে ! তোমার চরণে বহু অপরাধ করিয়াছি, একবার তাহ মার্জন কর। আমি মরি তাহাতে ক্ষতি নাই, আমি গৌড়ে ফিরিতে চাহি না, কিন্তু দেব, সংসারের পিচ্ছিল “উপলবহুলপথে ইছারা চলিতে অনভ্যস্ত, ইহাদিগের কোমল চরণতলে কুশাঙ্কুরও বৃিদ্ধ হইতে দি ও না ! তুমি অনন্ত—তুমি অসীম, আমি ক্ষুদ্র । চক্রী, তোমার অনন্ত চক্র কে বুঝিবে ? মধুস্থদন, ইহাদিগকে রক্ষা কর। আমি বুঝিতে পারিতেছি, বিধিলিপি এই পতঙ্গ দুইটিকে অনলের দিকে আকর্ষণ করিয়া লইয়া যাইতেছে। দয়াময়, দীননাথ, অনাথবন্ধু বৃক্ষ কর ।” ব্রাহ্মণের গণ্ডস্থল বহিয়া স্রোতের দ্যায় অশ্রদ্ধার প্রবাহিত হইল, স্কন্দগুপ্ত, ভানুমিত্র ও করুণা স্তম্ভিত হইয়া চিত্র-পুত্তলিকার দ্যায় দণ্ডায়মান রহিলেন । *。 তৃতীয় পরিচ্ছেদ চির মাত্রা সন্ধ্যা হইয়াছে, পাটলিপুত্র নগরের একটি প্রশস্ত রাজপথের উপরে একটি পাষাণ-নিৰ্ম্মিত বিশাল সৌধ দীপমালায় সুসজ্জিত হইয়াছে। সেনাপতি দেবধরের গৃহে অন্ত মহোৎসব। দেবধর তোরণে দাড়াইয়া
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।