তৃতীয় পরিচ্ছেদ >>? অতিথিগণকে অভ্যর্থনা করিতেছেন। রথের পর রথ আসিয়া তোরণে দাড়াইতেছে, যোদ্ধবেশধারী অতিথিগণ তোরণমধ্যে প্রবেশ করিতেছেন। তোরণের উপর মঙ্গলবাদ্য বাজিতেছে, পথে দাড়াইয়া শত শত নাগরিক উৎসব দর্শন করিতেছে। te সৌধমধ্যে একটি প্রশস্ত কক্ষে অতিথিগণ সমবেত হইতেছেন, গন্ধদীপ ও পুষ্পমালোর সুরভি আকুল করিয়া তুলিতেছে ! পরিচারকগণ পাত্র ও সুরা ভাণ্ড লইয়া , চারিদিকে পরিভ্রমণ করিতেছে, স্রোতের ষ্ঠায় মাধবীয় কাদম্বী প্রবাহিত হইতেছে । কক্ষের মধ্যস্থলে “ আসবপানে অৰ্দ্ধনিমীলিতনেত্রী তরুণী নৰ্ত্তকী-চতুষ্টয় নৃত্য করিতেছে, আর চন্দ্রমণ্ডলের চায় তাহাদিগকে বেষ্টন করিয়া অপরূপ লাবণাবতী একদল কারবনিত। বসিয়াছিল। কখনও নৃত্যে কখনও গীতে রমণীগণ দেবধরের অতিথিবৃন্দের মনোরঞ্জন করিতে লাগিল, ক্রমে রজনীর দ্বিতীয় ঘাম শেষ হইয়া আসিল । গৃহস্বামী তখনও অতিথিগণের প্রতীক্ষায়, তোরণে দাড়াইয়াছিলেন । দ্বিতীয় ঘাম শেষ হইল, নগরের তোরণে তোরণে, মন্দিরে, মন্দিরে, মঙ্গলবাদ্য শেষ হইল। তখন তুইখানি রথ আসিয়া দেবধরের গৃহদ্বারে দাড়াইল । প্রথম রথ হইতে মহারাজপুত্র গোবিন্যগুপ্ত ও মহাবলাধিকৃত অগ্নিগুপ্ত এবং দ্বিতীয় রথ হহতে যুবরাজ স্কন্দ গুপ্ত ও বলাধিকৃত ভানুমিত্র অবতরণ করিলেন । দেবধর সম্রাটবংশীয় অতিথিগণকে অভিবাদন ও ভানুমিত্রকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “বিলম্ব দেখিয় আমি মনে করিতেছিলাম যে, আপনারা হয় ত আসিন্তে পরিলেন না।” মহারাজপুত্র হাসিয়া কহিলেন, “সে কি কথা দেবধর, আজ তোমার গুহে সৈনিক মেলা, আজ সহস্ৰ কাৰ্য্য ফেলিয়াও আসিতাম। যাহারা যুদ্ধে যাইতেছে, তাহাদিগের মধ্যে কে ফিরিয়া আসিবে না আসিবে কে বলিতে পারে?” সকলে উৎসবকক্ষে প্রবেশ করিলেন, সহসা ভীষণ জয়ধ্বনিতে পাষাণ-নিৰ্ম্মিত সৌধের ভিত্তি পর্য্যন্ত কম্পিত হইল। পানোন্মত্ত অৰ্দ্ধমত্ত
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।