>>br করুণা ও প্রকৃতিস্থ সমস্ত সেনানায়ক সমস্বরে চীৎকার করিয়া উঠিল, “গোবিন্দগুপ্তের জয়, মহারাজপুত্রের জয় !” সঙ্গে সঙ্গে শত শত অসি কোষমুক্ত হইল, সহস্ৰ সহস্র দীপশিখায় ফলকগুলি উদ্ভাসিত হইল। গোবিন্দগুপ্ত মধ্যপথে দাড়াইয়া অসি কোষমুক্ত করিলেন এবং তাহা উষ্ণাৰে স্পর্শ করিয়া পুনরায় কোষবদ্ধ করিলেন । পুনরায় জয়ধ্বনিতে দেবধরের সৌধ কম্পিত হইল, সকলে অগ্নিগুপ্ত ও যুবরাজ স্কন্দগুপ্তের নাম গ্রহণ করিয়া জয়ধ্বনি' করিয়া উঠিলেন। অগ্নিগুপ্ত ও স্কন্দগুপ্ত যথারীতি অভিবাদন করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন । পুনরায় নৃত্যগীত আরম্ভ হইল। আসব, মাধবী ও কাদম্ব স্রোতের ন্তায় প্রবাহিত হইতে লাগিল । দুই দণ্ড পরে অগ্নি গুপ্ত সহসা আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন । বৃদ্ধ সেনাপতির অসি কোষমুক্ত হহল এবং তাহার শীর্ষদেশ শুভ্র কুঞ্চিতকেশদাম স্পর্শ করিল। মৃত্যগীত থামিয়া গেল । অসি কোষবদ্ধ করিয়া বৃদ্ধ সেনাপতি কহিলেন, “বন্ধুগণ, বৃদ্ধ অগ্নি গুপ্ত কল্য হ্ণযুদ্ধে যাত্রা করিবে, সেইজন্য আজন্ম অনুষ্ঠিত অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছে।” তাহার কথা শুনিয়া সকলে হাসিয়া উঠিল, কেহ কেহ বলিল, “সেনাপতি, সৈনিকের পক্ষে যুদ্ধযাত্রা চিরাভ্যস্ত কার্য, ক্ষমা প্রার্থনা কেন ?" পুনৰ্ব্বার অভিবাদন করিয়া বৃদ্ধ সেনাপতি কহিলেন, “বন্ধুগণ, চন্দ্র গুপ্ত ও কুমারগুপ্তের আদেশে অগ্নি গুপ্ত বহুবার যুদ্ধযাত্রা করিয়াছে, কিন্তু কল্য ষে যুদ্ধযাত্রা আরব্ধ হইবে, মাৰ্য্যাবৰ্ত্তে ও দাক্ষিণাত্যে বহুকাল সেরূপ হয় নাই। হণবুদ্ধ হইতে অনেকে ফিরিবে কিন্তু ইহা নিশ্চয় যে চন্দ্রগুপ্তের প্রাচীন সেনাপতি আর কখনও পাটলিপুত্র নগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবে না।” সেনানীগণ বৃদ্ধ সেনাপতির কণ্ঠস্বত্ব শ্রবণ করিয়া চপলত পরিত্যাগ করিল এবং শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়াইল । অগ্নিগুপ্ত পুনরায় কহিলেন, “বন্ধুগণ, বৃদ্ধ, ভট্টারক সমুদ্রগুপ্তের আর্য্যাবৰ্ত্ত ও দাক্ষিণাত্য বিজয়-কাহিনী শুনিয়াছে, চন্দ্রগুপ্তের মালব ও সৌরাষ্ট্র বিজয় , দেখিয়াছে ; যুদ্ধ-ব্যবসায়ে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।